কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পেছনের কারণটা খেয়াল করলে আমাকে বুঝতে পারবেন : ফারুকী

আরটিভি প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৩৫

সপ্তাহ খানেক আগে (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ্যে এসেছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার ট্রেলার। দর্শক যেমনটা ভেবেছিলেন, ট্রেলারে ঠিক তেমনটা মেলাতে পারেননি। ফলে ট্রেলার ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম নিয়েছে। এ কারণে ট্রেলার নির্মাণের বিষয়টি দর্শকের কাছে তুলে ধরলেন নির্মাতা।


সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ফারুকী জানিয়েছেন, এই কদিনে দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে অনেক শুভানুধ্যায়ী চিঠি লিখেছেন। অনেকেই তাদের ভালো লাগা জানিয়েছেন। আবার অনেকে এটাও বলেছেন, ট্রেলারে কেন কোনো কিছুই দেখাইনি! ট্রেলার দেখে অনেকের কাছে মনে হয়েছে, খুব নিরাপদে বানানো একটা কিছু। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে, ট্রেলারে আমরা গল্পের ইঙ্গিতবাহী বা হার্ড হিটিং সবকিছু অ্যাভয়েড করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি এর পেছনে কারণটা খেয়াল করেন, তাহলে আমাকে হয়ত বুঝতে পারবেন।


তিনি আরও লেখেন, ‘শনিবার বিকেল’-তো ‘ডুব’ না যে শান্ত শীতল ট্রেলার হবে। এটা সম্ভবত আমার সবচেয়ে এনগেজিং এবং ইনটেনস সিনেমা। সিনেমাজুড়েই আমাদের পরিচয়, আবেগ, সংকট বিষয়ে নানা হার্ডহিটিং মোমেন্টস বা ডিবেট আছে। একজন দর্শক যখন পুরো সিনেমাটি এক বসায় দেখবে, সে তখন পুরো সিনেমার কনটেক্সটে বিষয়আশয়গুলো দেখবে। তখন সিনেমার মূল সুর এবং বক্তব্য বুঝতে পারবে। কিন্তু যখনই এখান থেকে একটা, ওখান থেকে একটা ডায়লগ এনে ট্রেলারে ব্যবহার করব, দর্শক বিভ্রান্ত হওয়ার গভীর সম্ভাবনা থেকে যাবে।


নির্মাতা জানান, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমার দুইটা সামান্য স্টিল ছবি নিয়ে যা হয়েছিল, তারপর কি এই ভুল-বোঝাবুঝির রাস্তা ওপেন করা ঠিক হতো? মার্চের ১০ তারিখ শনিবার বিকেল রিলিজ হচ্ছে আমেরিকা এবং কানাডাতে। চলেন সিনেমাটা দেখি। তারপর বলার মতো অনেক কথাই থাকবে আমাদের। কথা হবে। কারণ, কথাই তো বলতে চাই আমরা।


ফারুকী আগেই জানিয়েছিলেন, ‘শনিবার বিকেল’-এর ট্রেলার বানাতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জে পড়েছিলাম, সেটা হচ্ছে সিনেমার অনেক গা হিম করা মুহূর্ত আছে বা ড্রামাটিক কনফ্লিক্ট আছে বা ভাববার জায়গা আছে, যেগুলোর কোনোটাই ট্রেলারে ব্যবহার করা যাচ্ছিল না, গল্পের গোপন জায়গা উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে। অথবা গল্প সম্পর্কে একটা ভুল এবং একতরফা ধারণা হয়ে যাওয়ার ভয়ে। ফলে আমি বলব, সিনেমাটি দেখতে থিয়েটারে আসলেই সত্যিকার পরিষ্কার হতে পারবেন। আপনি যদি একটা স্টিল দেখে বা ট্রেলার দেখে সব বুঝে ফেলতে পারেন, তাইলে আমার কষ্ট করে দেড় ঘণ্টার ফিল্ম বানানোর দরকারটা কি? তাই না? আমি তো তাহলে শুধু ট্রেলারই বানাতাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও