ভারতে পাচারের পর টুম্পাকে হত্যা, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

সমকাল প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৫

ভারতের গুজরাটে পাচারের পর কিশোরী টুম্পাকে (১৭) হত্যার অভিযোগে নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- নড়াইলের আলী হোসেন (২০), খুলনার মো. আল আমিন (১৯) ও কুলসুম বেগম (৪৫)। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোসতাক আহমেদ এ তথ্য জানান।র‌্যাব জানায়, ভারতে বসবাসরত যশোরের অভয়নগরের নবাব ও পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার বৃষ্টি পরস্পর স্বামী-স্ত্রী এবং তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভারতে মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা।


তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাদের চক্রের সদস্যদের সাহায্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভারতে পাচার এবং বিক্রি করে অনৈতিক কাজে বাধ্য করে। এই চক্রের সক্রিয় সদস্য বৃষ্টির মা কুলসুম এবং ভাই আল আমিন খুলনা সদর থানা এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করে মানবপাচারে তার মেয়ে এবং জামাতাকে সহযোগিতা করছেন।র‌্যাব জানায়, টুম্পা তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকার ডেমরা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। আসামিরা আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে, টিকটক সেলিব্রেটি বানিয়ে দেওয়া ও বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টুম্পাকে পাচারকারী বৃষ্টি এবং নবাবের পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে খুলনায় নিয়ে আসেন।


এরপর বৃষ্টির মা কুলসুমের বাসায় টুম্পাকে ৩ দিন রাখা হয়। পরে তাকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। ভারতে একটি বাসায় আটকে রেখে টুম্পাকে ভারতের এনআইডি কার্ড ও আধার কার্ড তৈরি করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করাতো।এরপর বৃষ্টি এবং নবাবের নির্দেশে আলী হোসেনের জিম্মায় অনৈতিক কাজ করার জন্য টুম্পাকে ২ মাস আটকে রাখা হয়েছিল এবং জোরপূর্বক টুম্পার সঙ্গে আলী হোসেনের টিকটক ভিডিও বানানো হতো। পাশাপাশি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। পরবর্তীতে টুম্পা পাচারকারীদের সব গোপন তথ্য জেনে যায় এবং তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দেশে আসার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে টুম্পাকে হত্যা করা হয়।গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের গুজরাট পুলিশ ফোন করে টুম্পার বাবাকে জানায় যে, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও