একুশের চলমান রাজনীতি

সমকাল ফারজানা সিদ্দিকা প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৪

একুশ কখনোই শুধু ভাষা আন্দোলনে সীমাবদ্ধ কোনো বিষয় নয়। মূলত রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈষম্যের সম্মিলিত মিথস্ট্ক্রিয়ার ফল হয়ে আসে ভাষা আন্দোলন। বঞ্চনা আর বৈষম্যের ইতিহাস থেকেই উৎসারিত হয়েছিল বাঙালি জাতিসত্তার প্রথম উপলব্ধি। একুশের প্রথম কবিতার দীর্ঘ বয়ানে মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী সেই উপলব্ধির কথাই তো লিখেছিলেন। হাসান হাফিজুর রহমান আরও বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেছিলেন 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সংকলনে লিখিত যুগান্তকারী এক সম্পাদকীয়তে- 'মেকি আজাদীর রঙিন ছটা আর উজ্জ্বল নতুন দিনের সোনালী স্বপ্ন কোথায় মিলিয়ে গেছে- জাতির জীবনে, সমগ্র দেশের বুকে নেমে এসেছে নিরল্প্রব্দ অন্ধকারের কালো বিভীষিকা। সামন্তবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের দোসর প্রতিক্রিয়ার দানবীয় নিষ্পেষণে দেশের অর্থনৈতিক জীবন পঙ্গু, শিক্ষার অধিকার, ভাষা ও সংস্কৃতির স্বাধীনতা বিপর্যস্ত, গণতন্ত্র নির্বাসিত। আর এই নিঃসীম অন্ধকারে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জনতার জীবন গভীর হতাশায় আচ্ছন্ন।


এমনই দুর্দিনে এক ঝলক আশীর্বাদের আলোর মতোই এলো একুশে ফেব্রুয়ারি। দিনে দিনে যে বিপুল বিক্ষোভ পুঞ্জ পুঞ্জ হয়ে জমেছিল মানুষের মনে মনে, শহীদের পবিত্র রক্তের স্পর্শে যেন কোনো মন্ত্রগুণে তার বাঁধ গেল ভেঙে- উচ্ছল জোয়ারের কলধ্বনি ছড়িয়ে পড়ল দেশজুড়ে।' কিন্তু সে জোয়ার সত্যিই কি সবাইকে ভাসিয়েছিল? ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সংকলনটি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত শহীদ মিনার যতবার বানানো হয়, ততবারই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।


আরও খানিকটা পেছন ফিরে দেখলে জোয়ারের বিপরীতে আরেক বাস্তবতা উঠে আসে। যদিও একুশের সঙ্গে সরাসরি সে বাস্তবতার সম্পর্ক নেই। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হয় ভাষা বা শব্দ নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র সক্রিয়তার বিষয়ে। কোন বাস্তবতায় বায়ান্নর আগে থেকেই একের পর এক প্রবন্ধ তাঁকে লিখতে হয়েছিল? কেমন ছিল নব্য পাকিস্তানের সেই বাস্তবতা? সাধারণ ইতিহাসের পথে না গিয়ে শুধু কাজী নজরুল ইসলাম ঘিরে সে সময় পাকিস্তানে বিশেষত পূর্ব পাকিস্তানের এক দল বাঙালি যেসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন, সে বিষয়ে নজর দেওয়া যেতে পারে। কাজী নজরুল ইসলাম তখন কলকাতায় অর্থাৎ ভারতে; অসুস্থ এবং তাঁর পরিবার তীব্রভাবে আর্থিক সংকটাপন্ন। পাকিস্তানে তখন তাঁর বিষয়ে কী কী চর্চা চলছিল?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও