তারা আসেন ওয়াহেদ ম্যানশনে, দুঃসহ সেই স্মৃতি জাগে
চুড়িহাট্টায় গা ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক ভবনের মধ্যে ওয়াহেদ ম্যানশনের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নেই; তবু সবাই এক নামে চেনে এই ভবন; পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক বার তাকিয়ে দেখে।
এখন দেখলে বোঝার উপায় নেই; তবে চার বছর আগে এই ভবনে লাগা আগুনে নরককুণ্ডে রূপ নিয়েছিল পুরান ঢাকার ব্যস্ত এলাকা চকবাজারের চুড়িহাট্টা।
২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারির সেই আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন ৭১ জন, আহত হন বহু মানুষ। ১৫ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানোর পর চারতলা ওয়াহিদ ম্যানশন কঙ্কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বেশ কিছু দিন।
চার বছর পর ভবনের নতুন কাঠামো অগ্নিকাণ্ডের চিহ্ন মুছে দিয়েছে, তবে সেই স্মৃতি মন থেকে মুছে যায়নি অনেকের।
তাদেরই একজন হোসনে আরা, বাড়ি মানিকগঞ্জে, ঢাকায় থাকেন রায়েরবাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে ছেলে রেজাউল করিমকে (২০) হারিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকালে হারানো ছেলের শেষ চিহ্ন খুঁজে পেতে উপস্থিত হন ওয়াহিদ ম্যানশনের সামনে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছেলেকে হারিয়ে নগর ভবনে চাকরি পেয়েছি, কিন্তু তবুও মনে হয়, চাকরির চেয়ে ছেলেটাই দরকার ছিল।”
আরও কিছু বলতে চেয়েও আর পারলেন না হোসনে আরা। আবেগে ধরে আসে তার কণ্ঠ।
শ্রমিকের কাজ করতেন রেজাউল। তার আয়েই চলত সংসার। হোসনে আরার আরেক ছেলে আছেন। তবে রেজাউল মারা যাওয়ার সময় সে ছিল ছোট।