কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পানি নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত কি অবশ্যম্ভাবী

প্রথম আলো ব্রহ্ম চেলানি প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৩৪

ছয় দশকের বেশি সময় আগে বিশ্বের সবচেয়ে উদার পানিবণ্টন চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সিন্ধু পানি চুক্তির (ইন্দুজ ওয়াটার ট্রিটি, সংক্ষেপে আইডব্লিউটি) শর্ত অনুযায়ী, উজানে থাকা ভারত ভাটিতে থাকা পাকিস্তানকে হিস্যা হিসেবে উপমহাদেশের সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি বড় নদীর সিংহভাগ পানি দিয়েছিল। কিন্তু ভারতের নিজস্ব পানি সুরক্ষাব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে পাকিস্তানের লাগাতারভাবে সেই চুক্তিকে ব্যবহার করার চেষ্টা ভারতকে তার উদার দৃষ্টিভঙ্গিকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে।


গত মাসে ভারত পাকিস্তানকে আইডব্লিউটির নতুন শর্ত নিয়ে আলোচনায় বসতে চায় বলে নোটিশ পাঠিয়েছে। চুক্তিটির বিদ্যমান শর্তগুলো বিশ্বব্যাংককে ভারত-পাকিস্তানের যেকোনো মতবিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ কিংবা হেগের আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতে পাঠানোর সুপারিশ করতে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভারতের দাবি, ভারতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারিগরি দিকগুলোর বিষয়ে আপত্তি তুলে সেখানে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার আবেদন জানানোর মধ্য দিয়ে পাকিস্তান প্রকারান্তরে আইডব্লিউটির বিরোধ নিষ্পন্নসংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর অপব্যবহার, এমনকি সেগুলো লঙ্ঘন করছে।


জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের কিষেনগঙ্গা এবং র‍্যাটল হাইড্রোইলেকট্রিক প্রজেক্টের বিষয়ে পাকিস্তান আপত্তি তোলার পর সেই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত অক্টোবরে বিশ্বব্যাংক একই সঙ্গে একটি নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটি ও একটি সালিসি আদালত নিয়োগ করায় এবং আলাদাভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করায় ভারতের অসন্তোষ বেড়ে গেছে। ভারত দাবি করছে, পাকিস্তানকে তারা নোটিশ জারি করার মাত্র দুই দিন পরই সালিসি আদালতের যে কার্যক্রম শুরু হয়, তা আইডব্লিউটির শর্ত লঙ্ঘন করেছে এবং সে কারণে ভারত সেসব কার্যক্রমকে বর্জন করছে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক তার দিক থেকে স্বীকার করেছে, দুটি প্রক্রিয়া যুগপৎভাবে চালানোটা ব্যবহারিক ও আইনি দিক থেকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।


আইডব্লিউটির অধীনে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়টি সামনে এনে ভারত যে পুনঃ আলোচনার নোটিশ দিয়েছে, সেটি যে সর্বশেষ ঘটনাপ্রবাহেরই প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে ভারত ভালো করেই জানে, পাকিস্তান এই পুনঃ আলোচনায় রাজি হবে না। এতে মনে হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রতি ভারতের সাম্প্রতিক এই নোটিশ জারি বড় ধরনের বাদানুবাদ ও সংঘাতের শুরু মাত্র। দ্বিতীয় ধাপে হয়তো ভারত সীমান্ত সন্ত্রাসে দীর্ঘকাল ধরে মদদ দেওয়া হাতকে রুখে দেওয়ার কার্যক্রম পদক্ষেপ নেবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও