কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঋতু পরিবর্তনজনিত অসুস্থতায় চাই পুষ্টিকর খাবার

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩৬

দেখতে দেখতে শীত প্রায় চলে যাচ্ছে। আবহাওয়া এখন কখনো ঠাণ্ডা, তো কখনো বা হালকা গরম। ঋতু পরিবর্তনে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি হয় নানা রকম রোগের। তাই এ সময়টায় তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে অনেকটা সাহায্য করে।


জলবসন্ত ও অন্যান্য চর্মরোগ

শীতে চামড়া শুষ্ক হয়ে যায় বলে এ সময় বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দেয়। এ ছাড়া ঠাণ্ডা-গরমের তারতম্যের কারণে পক্স ও জলবসন্ত এ মৌসুমে বেশি ছড়ায়। জলবসন্ত একটি ভাইরাস জীবাণুবাহিত রোগ। ভ্যারিসিলা জোসটার ভাইরাসের দ্বারা মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ।


খাদ্য ব্যবস্থাপনা


এসব রোগে আক্রান্তদের খাবার হতে হবে সহজপাচ্য, কম মসলা ও কম লবণযুক্ত। ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। তাই মিল্ক শেক, কাস্টার্ড, ঠাণ্ডা দই, মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, স্যুপ, ফলের রস, ডালের পানি ইত্যাদি বেশি করে খেতে দিতে হবে রোগীকে। রোগী একবারে বেশি খেতে না পারলে অল্প করে বারবার খেতে হবে। এ ছাড়া অনেকে আক্রান্ত শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ রাখেন, যা ঠিক নয়। শিশুকে অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।


খাবারে বিশেষ সতর্কতা


চর্বিযুক্ত খাবার, বিশেষ করে নারকেল, মাখন, চকোলেট, বাদাম ও পনির শরীরের প্রদাহ বাড়ায়। অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য সব সময়ই ক্ষতিকর। জলবসন্তের সময় এ ধরনের খাবার মুখের ক্ষত বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া আরজিনিনসমৃদ্ধ খাবার; যেমন—বিভিন্ন রকমের বাদাম, বিচি, চকোলেট, মাখন ও কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ আরজিনিন নামক অ্যামাইনো এসিড রয়েছে, যা জলবসন্তের জীবাণুর বংশবিস্তার ঘটায়। জলবসন্তের রোগীকে লেবু বা লেবুজাতীয় ফল না খাওয়ানোই ভালো। কারণ উচ্চমাত্রায় সাইট্রিক এসিডের কারণে লেবুর রস মুখের ভেতরে গেলে ক্ষতস্থানে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয়।


সর্দি, নিউমোনিয়া ও ইনফ্লুয়েঞ্জা


ঠাণ্ডা-গরম তারতম্যের কারণে এজাতীয় রোগ হয়। তবে ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ, যাঁদের  রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাঁদের ঘন ঘন এসব রোগ হয়।


খাদ্য ব্যবস্থাপনা


দৈনন্দিন খাবারে ভাত, মাছ, ডিমের পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন টাটকা রঙিন শাক-সবজি খেতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত ফল; যেমন—আমলকী, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত দুইবার কুসুম গরম পানি খেতে হবে এবং কখনোই ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাওয়া যাবে না। শুকনা খাবার; যেমন—খেজুর, ডালের বড়ি, শুঁটকি মাছ, রোদে শুকানো আচার ইত্যাদি খাওয়া উচিত। কারণ এসব খাবারে ভিটামিন ‘ডি’ ও বিভিন্ন খনিজ উপাদান ঘনীভূত থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ করতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থা বা অসংক্রমিত রোগ; যেমন—উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং কিডনি জটিলতা থাকলে পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও