ভূমিকম্পে তুরস্কে এত ধ্বংস ও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী?

প্রথম আলো তুরস্ক কনসটানজি লিজ প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:০৪

তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমের নিউজফিড বালুর প্রাসাদের মতো ধসে পড়া নতুন সব আবাসিক ভবনের ছবিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবন্ত কবর হয়েছে বাসিন্দাদের। এর অনেক কটিই বিলাসবহুল ভবন হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল। আবাসন কোম্পানিগুলো বিক্রির সময় দাবি করেছিল, ভবনগুলোতে ‘অত্যাধুনিক ভূমিকম্প নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করা হয়েছে।’


এসব ভবন নির্মাণের জন্য দায়ী অনেক ঠিকাদার তুরস্ক থেকে ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছেন। ভবন নির্মাণে নিরাপত্তা বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কয়েকজন আবাসন কোম্পানির মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তুরস্কের ন্যায়বিচারবিষয়ক মন্ত্রী বেকির বজদাজ বলেন, ‘যারা এর জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’


তবে লোভ আর নির্লজ্জ মুনাফার জন্য যে বিপর্যয় ঘটেছে, সেটিকে শুধু আইনি অপরাধ বলে পার পাওয়া যায় না। সরকারি সংস্থার অনুমোদন, ভবন পরিদর্শকদের অনুমোদন এবং গবেষণাগারে নির্মাণ উপাদানের গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়া এসব ভবন নির্মিত হয়নি। সরকার নির্মাণ ও আবাসন খাতে আইনের অনেক জায়গায় যে পরিবর্তন এনেছে, তারই আওতায় এসব ভবন নির্মিত হয়েছে। এ সবকিছুই তুরস্কের ধ্বংসাত্মক ও অতি লোভী নির্মাণ খাতের ফুলেফেঁপে ওঠার কারণ।


সরকারের দুর্নীতি ও অক্ষমতাকে খোলাসা করে দিয়েছে ভূমিকম্প। এ ধরনের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প তুরস্ক এবারই প্রথম দেখল না। যাহোক রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন একেপি ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে তুরস্কে। প্রতারণার জন্য কুখ্যাত তুরস্কের আবাসন খাত। এ খাতে দায়দায়িত্বহীন ঠিকাদারদের নিবৃত্ত করে ভূমিকম্পপ্রবণ তুরস্কে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় বের করার জন্য যথেষ্ট সময় তারা পেয়েছে; কিন্তু সেটি করা হয়নি।


এর পরিবর্তে, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির তোয়াক্কা না করেই বিশালাকায় অবকাঠামো ও নির্মাণ প্রকল্পে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এটিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান খাতে পরিণত করা হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকার নির্মাণ ও আবাসন খাত, স্থানীয় সরকার ও গৃহনির্মাণে অর্থায়নের ক্ষেত্রে নতুন আইন পাসের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সংস্থায় কাঠামোগত সংস্কারও করেছে। এর মধ্য দিয়ে নগর প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষগুলোকে নগরায়ণ ও নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারগুলোকে ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করা এবং সরকারি মালিকানাধীন ভূমি ও সম্পদ আবাসন কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রি করার ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।


এর ফলে গরিব ও প্রান্তিক লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিলাসবহুল ও উচ্চ মুনাফার আবাসন নির্মাণের জন্য পাড়া–মহল্লাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নগর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভবনগুলো ভূমিকম্প আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম কি না, সে বিবেচনা একেবারে করা হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও