জনসংহতি সমিতি এবং জুম্ম জনগণের অধিকার

সমকাল মঙ্গল কুমার চাকমা প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:০৫

আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-জেএসএস) গত বছর সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করেছে। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি- এক ঐতিহাসিক দিনে মহান বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে জুম্ম জনগণের অধিকারকামী দেশপ্রেমিক অংশের উদ্যোগে জেএসএস প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর থেকে বিগত পাঁচ দশকের অধিক সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে জেএসএস গৌরবময় সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।


জেএসএস জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে ১১টি ক্ষুদ্র জাতির আবাসভূমি। জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমঅধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার- এই মূলনীতির ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভিন্ন ভাষাভাষী জুম্ম জাতি জেএসএসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে। মানবতাকে আদর্শ হিসেবে ধারণ করে জাতি, সম্প্রদায়, লিঙ্গগত বৈষম্য ও নির্যাতন-নিপীড়ন এবং মানুষ কর্তৃক মানুষের শোষণ ও বঞ্চনার অবসান তথা বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সূচিত হয় জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায়ের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। অন্যদিকে দেশের স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠী জেএসএসের নেতৃত্বাধীন জুম্ম জনগণের আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্র ও নৃশংস দমন-পীড়ন চালাতে থাকে। তা সত্ত্বেও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা প্রদর্শিত আদর্শ ও পথ অনুসরণে জেএসএস নেতৃত্ব অবিচল থাকে। জেএসএসের নেতৃত্বে জুম্ম জনগণের আড়াই দশকের রক্ত-পিচ্ছিল দুর্বার আন্দোলনের ফলে দেশের শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় ১৯৯৭ সালে ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, জুম্ম জনগণের শাসনতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করলেও আজ পর্যন্ত কোনো সরকার চুক্তির মূল বিষয়গুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও