কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


বিবিসির ভারতীয় দপ্তরে তল্লাশির তাৎপর্য

নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ে আয়কর কর্মকর্তাদের বিবিসির অফিস তল্লাশি ভারতে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষয়িষুষ্ণ পরিস্থিতি হিসেবেই বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার একে 'জরিপ' হিসেবে বর্ণনা করলেও সেভাবে দেখার সুযোগ সামান্যই। এখানে সময়টি গুরুত্বপূর্ণ। এমন সময়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যখন মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি একটি ডকুমেন্টারি সম্প্রচার করেছিল। সেখানে ২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার বিষয়টি সামনে চলে আসে। মোদি সরকার ডকুমেন্টারিটি নিষিদ্ধ করেছে। সামাজিক মাধ্যমে তা ব্লক করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তল্লাশির চেষ্টা করেছে।

সরকারের মুখপাত্র এবং নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা বিবিসির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে একে 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা' ধরে রাখার অভিযোগ এনেছেন। বিবিসি বলছে, সম্পাদকীয় নীতি অনুসারে ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়েছে। ডকুমেন্টারিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি প্রতিবেদনের উদ্ৃব্দতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদির অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশিরভাগই ছিল মুসলমান। এ তল্লাশিতে স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির সমর্থকরা উল্লসিত হয়েছিল। যে কারণে মোদির সমালোচক ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর আক্রমণ আরও বেশি হয়। নিউইয়র্ক টাইমস সম্পাদকীয় পরিষদ মাত্র এক দিন আগে সতর্ক করে বলেছিল, তথ্যচিত্রকে কেন্দ্র করে সরকারের আচরণই প্রমাণ করছে- ভারতে 'স্বাধীন সাংবাদিকতার গর্বিত ঐতিহ্য' ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এ অভিযান নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের নিন্দা প্রকাশের পথ আরও প্রশস্ত করবে।নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে ২০১৪ সালে প্রথম স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর আঘাত আসে। এর পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সরকারের সমালোচনার কারণে অভ্যন্তরীণ সংবাদমাধ্যম বিশেষ করে স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদমাধ্যম ছিল ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ 'টার্গেট'। নয়াদিল্লির শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমসের সম্পাদক হিসেবে এ ব্যাপারে আমার যে অভিজ্ঞতা, তা সুখকর ছিল না। ক্ষমতায় থাকার মাত্র দুই বছরেই আমরা দেখেছি, মোদি সরকার সমালোচনার ব্যাপারে কতটা অসহিষুষ্ণ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি সংবাদদাতা হিসেবে অভিজ্ঞতা থেকেই বিষয়টি আমার কাছে পরিচিত ছিল। সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের কাছে বিব্রতকর বলে বিবেচিত কোনো সংবাদ প্রকাশ হলে অবধারিতভাবে মন্ত্রী ও আমলাদের কাছ থেকে ফোনকল আসত এবং তা বন্ধে হুমকি দিত। একই সঙ্গে এর শাস্তি হিসেবে আমার ও আমার পরিবারের আর্থিক বিষয়াদি তদন্তেরও হুমকি দেওয়া হতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন