বর্ষপূর্তিতে বড় হামলা চালাবে কি রাশিয়া?
এ মুহূর্তে সিরিয়া-তুরস্কে হয়ে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানির জন্য পুরো বিশ্ব যখন গভীর শোকে মুহ্যমান, ঠিক তখনও মস্কো ও কিয়েভ একে অপরকে ঘায়েল করার রণকৌশল নিয়ে ব্যস্ত। রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের ভূমি দখলে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। ভূমিকম্প সিরিয়া ও তুরস্কে যে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তা বর্ণনাতীত। ধ্বংসাবশেষের ভেতর থেকে জীবিত ও মৃত শিশুসহ সব বয়সের মানুষ উদ্ধারের যে দৃশ্যাবলি টেলিভিশনে ভেসে ওঠে, তা সত্যিই মর্মান্তিক। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র, ইরান-ইরাক, সৌদি আরব ও ইসরাইল থেকে শুরু করে একযোগে শত্রু-মিত্র সব দেশই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে; এমনকি যুদ্ধে মুখোমুখি রাশিয়া এবং ইউক্রেনও এগিয়ে এসেছে।
কেউ মেডিকেল সাপোর্ট দিয়ে, কেউ উদ্ধারের যন্ত্রপাতি দিয়ে, কেউবা আবার ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়ে সিরিয়া ও তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, ভয়াবহ মানবিক এ দুর্যোগ পুরো বিশ্বকে যেন ঐক্যবদ্ধ করেছে। আসলে কি তাই? বোধহয় না। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে যে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, তা মোকাবিলায় সবাই একযোগে এগিয়ে এলেও রাজনৈতিক ভাবাদর্শে যে যার অবস্থানে অবিচল আছে। বাস্তবে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।