আইন লঙ্ঘনে গুনতে হবে ১০ লাখ টাকা
দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘আমদানি-রপ্তানি আইন, ২০২২’ করতে যাচ্ছে সরকার। ১৯৫০ সালের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট (নিয়ন্ত্রণ) আইনের আলোকে আইনটি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে এর খসড়া। এই আইন লঙ্ঘন করলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দেওয়া নিবন্ধন সনদ বা অনুমতিপত্রের শর্ত না মানলে কোনো পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে না। অনুমোদন ছাড়া আমদানি, রপ্তানি ও ইনডেন্টিং নিবন্ধন সনদ, অনুমতিপত্র বা সনদ বিক্রয় বা হস্তান্তর ও নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, ব্যাংক, বিমা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অথবা যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি সংস্থার কাছে আমদানি ও রপ্তানিবিষয়ক যেকোনো তথ্য কর্তৃপক্ষ চাইলে দিতে হবে।
ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথাযথ বিবেচনা করলে আমদানিকারক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অথবা অন্য কোনো সরকারি বা বেসরকারি কর্তৃপক্ষের দপ্তরে সংরক্ষিত রেকর্ড বা নথি অথবা আমদানি করা পণ্যের মজুত সরেজমিনে পরীক্ষা করতে পারবেন।
আইনের ১২ ধারায় অপরাধ ও শাস্তির বিষয়ে বলা আছে। এতে বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের কোনো বিধান অথবা কোনো আদেশ বা বিধি বা শর্ত পালন না করে আমদানি বা রপ্তানি বা ইনডেন্টিং নিবন্ধন সনদ বা অনুমতিপত্র বা সনদ ব্যবহার করে আমদানি করেন, তাহলে এক বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অপরাধ করলে কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগ ছাড়া ফৌজদারি আদালত কোনো মামলা গ্রহণ করতে পারবেন না।
খসড়ায় আমদানি-রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পরিবর্তে মহাপরিচালকের কার্যালয় করা হয়েছে। প্রধান নিয়ন্ত্রকের পরিবর্তে পদটির নাম হবে মহাপরিচালক। যেকোনো নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা (আমদানি বা রপ্তানি) অনিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে। নিষিদ্ধ পণ্য বোঝাতে ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।