অর্থ সংকটে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ স্থবির
চলমান অর্থ সংকটে শুধু বেসরকরি খাত নয়, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নানা কারণে সরকারের বেশির ভাগ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হয়। সাধারণত মেয়াদ বাড়লে প্রকল্পের খরচও বাড়ে। তবে এবার অর্থ সংকট প্রবল হওয়ায় সরকারের প্রকল্প ব্যয়ও অনেক বেড়ে যাবে। কারণ, সময়মতো অর্থছাড় করতে না পারলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়বে, আর মেয়াদ বাড়লে ব্যয়ও বাড়বে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক সভায় বিষয়টির বিভিন্ন দিক নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বেশির ভাগ সিনিয়র সচিব ও সচিব এ সভায় যোগ দেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকার এডিপি বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৯৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার কথা। সাধারণত এ ধরনের সভায় টাকা খরচ করতে না পারার কারণে তোপের মুখে পড়েন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এবার দেখা গেছে উলটো চিত্র। অর্থাৎ সভায় অংশ নেওয়া সিনিয়র সচিব ও সচিবরা জানিয়েছেন, তাদের সক্ষমতা থাকলেও টাকা পাচ্ছেন না। এ কারণে প্রকল্পে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় অনেক প্রকল্পই যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতিতে মেয়াদ এবং ব্যয় দুটিই বাড়তে পারে। কিন্তু সভায় এই সমস্যার কোনো সুরহা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, সংকটকালীন প্রকল্পের ক্যাটাগরি ভাগ করায় অনেক প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কৃচ্ছ সাধনের কারণেও কিছু কিছু প্রকল্প প্রয়োজনমতো বরাদ্দ পাচ্ছে না। তবে মেগা প্রকল্পগুলোয় বরাদ্দের কোনো সংকট নেই। কিন্তু এ কথা সত্য যে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়লে অবশ্যই ব্যয়ও বাড়বে। এর কোনো বিকল্প নেই।