কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


যুদ্ধের দ্বিতীয় বছরেও কী পুতিনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ঐক্য অটুট থাকবে?

স্বেচ্ছাচারী শাসকের জন্য ঘটনাটি ছিল একটা সহজ ভুল। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ইউক্রেনের ওপর নিষ্ঠুর আগ্রাসন শুরু করেছিলেন, সে সময় তিনি দেশটির বীর জনতা ও মাতৃভূমির মুক্তির লড়াইয়ে তাঁদের সংকল্পের দৃঢ়তা সম্পর্কে ভুল ধারণা করেছিলেন। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সংহতি সম্পর্কেও পুতিন ভুল বুঝেছিলেন।

পুতিন কেন গণতান্ত্রিক বিশ্ব সম্পর্কে এমন ভুল ধারণা পোষণ করেছিলেন? সেটা আপনারা সে সময় নিজের চোখেই দেখতে পেয়েছিলেন। রাশিয়ার সেনাবাহিনী যখন প্রতিবেশী ইউক্রেনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সামরিক অভিযান শুরু করে, তখন প্রধানমন্ত্রীর কেলেঙ্কারিতে জেরবার ছিল যুক্তরাজ্য সরকার। চরম হতাশা থেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছিলেন, ন্যাটোর ‘মস্তিষ্ক মৃত্যু’ হয়ে গেছে। রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভয়ংকরভাবে নির্ভরশীল জার্মানিতে ওলাফ শলৎজ সবে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিন জোটের একটি অপরীক্ষিত সরকার গঠন করেছেন। আফগানিস্তান থেকে অপমানজনকভাবে সৈন্য প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নড়বড়ে অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। শুধু পুতিন একা নন, মুক্ত বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছিল, যাঁরা ভাবতে পছন্দ করেন, গণতন্ত্র এতটা দুর্বল, ক্ষয়িষ্ণু ও বিভক্ত হয়ে গেছে যে সেটা আর নিজের মূল্যবোধ রক্ষা করতে সক্ষম নয়। সে কারণে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরক্ষার সক্ষমতা এবং দেশটিকে দেওয়া পশ্চিমাদের সমর্থন সম্পর্কে শুধু ক্রেমলিনের স্বৈরশাসক নন, আরও অনেকে অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছিলেন।

কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সেই ভঙ্গুর ও অগোছালো গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো আশাব্যঞ্জক ঐক্য ও সংকল্প নিয়ে একসঙ্গে চলতে শুরু করে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক শিবিরের এই ঐক্য ১২ মাস পরও একই রকম টেকসই রয়েছে। নিজেদের ভোটার কমে যাবে, সেই আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পরও দেশগুলোর সরকার রাশিয়ার ওপর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। সামরিক ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। পুনর্জীবন পাওয়া ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার জন্য ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।

পশ্চিমাদের এ প্রতিক্রিয়ার একদিকে আছে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি সমবেদনা; অন্যদিকে আছে, পুতিন জিতলে তারপর কী হবে, সেই ভীতি। যদিও ইউক্রেনে কী পরিমাণ এবং কত ভারী অস্ত্র দেওয়া হবে, তা নিয়ে জোটগুলোর ভেতরে ও মধ্যে নানা উত্তেজনা ও চাপান-উতোর চলেছে। সাম্প্রতিক তর্ক-বিতর্কটা চলছে যুদ্ধবিমান নিয়ে। এর আগে বিতর্কটা হয়েছিল অত্যাধুনিক মেইন ব্যাটল ট্যাংকস নিয়ে। গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের তর্ক-বিতর্ক খুব স্বাভাবিক। সেটা খুব বড় বাধাও নয়। যতটা ধারণা করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য পদক্ষেপ নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো পুতিনকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন