চিনি নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা
ফলেও রয়েছে চিনি। তাহলে কি ফল খাবেন না?
চিনি নিয়ে এই ধরনের নানান বিষয় প্রচলিত থাকা নতুন কিছু নয়। তবে এই ফেইসবুকের আমলে এসব তথ্যগুলো এখন বেশি চোখের পড়ে। এরমধ্যে অনেক বিষয়ই থাকে যা সঠিক নয়।
নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ সামান্থা ক্যাসেটি বলেন, “ফ্যাট-ফ্রি ডায়েট’য়ের প্রচলন নব্বইয়ের দশক থেকে। খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেই সময় থেকেই খাবারের স্বাদ বাড়াতে নানান পদ্ধতি অবলম্বন করে আসছে। বিস্কুট যদি খেতে মজা না লাগে তাহলে আর কিনবেন কেনো?”
ফলে চিনি পরিবর্তে ব্যবহার হতে থাকে ঘি-সহ নানান উপকরণ।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ক্যাসেটি আরও বলেন, “যে কারণে দেখা গেছে ‘লো ফ্যাট’ খাবারের মোড়কে লেখা থাকলেও সেখান থেকে মিষ্টি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।”
আর এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাড়তে পারে প্রদাহ, কোলেস্টেরল, হতে পারে ডায়াবেটিস, কমতে পারে ভালো কোলেস্টেরল ‘এইচডিএল’য়ের মাত্রা।
ক্যাসেটি জানান, এজন্য বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বার বার উঠে এসেছে ভালো চর্বি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। ‘মেডিটরিয়ান ডায়েট’কে এখন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের উপস্থিতি একটা কারণ।
তিনি বলেন, “মোড়কের গায়ে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ লেখা থাকে। খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রায় প্রতিটা খাবারেই রয়েছে চিনির উপস্থিতি। সেটা প্যাকেটজাত সুপ পাউডার থেকে শুরু করে ওট মিল্ক পর্যন্ত।”
ক্যাসেটি ‘ইউএস ডায়েটারি গাইডলাইন্স’য়ের তথ্যানুসারে জানান, প্রতিদিন নারীর ক্ষেত্রে ছয় চা-চামচ এবং পুরুষের জন্য নয় চা-চামচের কম চিনি গ্রহণ করা উচিত।
মনে রাখতে হবে খাদ্য উপাদান ‘ভালো’ বা ‘খারাপ’ হয় না। এগুলো সবই খাবার। তাই চিনি নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার থাকা দরকার।
- ট্যাগ:
- লাইফ
- চিনি
- ভ্রান্ত ধারণা
- খাদ্যাভ্যাস