ব্যবসায়ীদের কথায় বেরিয়ে এল দাম নিয়ে ‘লুকোচুরি’
নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে উৎপাদনকারী ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের মুখোমুখী আলাপে বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণের ফাঁকফোকর।
রোববার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আহ্বানে মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে রোজার মাসকে সামনে রেখে নিত্যপণ্য বিষয়ক এ মতবিনিময় সভা হয়।
এতে মিল গেটে বেশি দাম রাখা, চালানে যে দর লেখা হয় তার চেয়ে বেশি নেওয়া, বিভিন্ন পর্যায়ে কেনা দর লুকিয়ে রাখার মত বিষয়গুলো নিজেদের বক্তব্যেই তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারি একটি সংস্থার এক প্রতিনিধি বাজারে মূল্য কেন কার্যকর হয় না তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এগুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে অনেক ভেতরের খবর চলে আসবে।
আর এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন ডলার সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখেই রোজার আগে শতভাগ এলসি মার্জিনের শর্ত শিথিল এবং কিছু পণ্য আমদানির পথ খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
এবার মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে রোজা শুরু হতে পারে। এ মাসে বেশ কিছু খাদ্যপণ্যের চাহিদা দেড় থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পাশাপাশি আমদানি করা ফল ফলাদি, মসলা ও ডালের চাহিদাও বাড়ে। চাহিদা বাড়ার এ সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতি রমজানেই এক বা একাধিক পণ্যের দাম বাড়ানোর অভিযোগ পুরনো।
এদিন আসন্ন রোজায় পণ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে সভায় তেল ও চিনি ব্যবসায়ীরা মূল্য নির্ধারণ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধে জড়ান। ‘সব কথা বললে’ ব্যবসা হারাতে হবে বলেও শঙ্কার কথা জানান পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা।
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত চিনির সর্বোচ্চ দাম প্রতিকেজি ১০৭ থেকে ১১২ টাকার মধ্যে হলেও বাস্তবে খুচরা দোকানে ১২০ টাকার নিচে খোলা বা প্যাকেট চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।
চিনির পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবুল হাশেম বলেন, সরকার যে দর নির্ধারিত করে দিয়েছে মিল থেকে সেই দরে চিনি পাওয়া যায় না। তারা রশিদও দেয় না। তাহলে আমরা কিভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করব?