![](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/fak-20230209094421.jpg)
হিরোর প্রতিবাদী অভিযোগ জিরো হবে কি?
উপ-নির্বাচনে হেরে গিয়ে হিরো আলম ফলাফল জালিয়াতির ব্যাপারে জোড়ালো প্রতিবাদ করেছেন। তাকে ভোট প্রদানকারীরা তার পক্ষে এ ব্যাপারে সোচ্চার হয়ে সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছেন। গত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা প্রতীকের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম নির্বাচনের ফল পাল্টানোর অভিযোগ করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২ ফ্রেরুয়ারি সিইসি টেলিফোনে বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন। সেদিনই গণমাধ্যমকে একথা জানানো হয়।
এই আসনে উপ-নির্বাচনে ১০ কেন্দ্রে ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নজরে আসার পর বেশ হইচই পড়ে গিয়েছিল। এই আসনের উপ-নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছেন। কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার মোট ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি।
এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন মশাল প্রতীকধারী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একতারা প্রতীকধারী পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট, তিনি এই ফলাফলের প্রতিবাদকারী হিরো আলম। তিনি সে রাতে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘ভোট চুরি হয়নি, ফলাফল ছিনতাই হয়েছে।’ এজন্য ন্যায়বিচার পেতে তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন।
তিনি কষ্টের সুরে করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্টে নিজেকে গড়ে তুলেছি। আমি একমাত্র প্রার্থী ৪-৫ জন কর্মী, একটি পিকআপ, দুটি মাইক নিয়ে দুটি আসনের মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি। তাদের নানাভাবে সম্বোধন করেছি। ফলে জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভোটার হলেও অনেক বলেছেন, তারা ‘একতারা’ প্রতীকে ভোট দিয়েছেন। সবাই বলেছেন, আপনি পাস করেছেন। ভোটাররাও ভোট দিয়েছেন, তাহলে ওই সব ভোট কোথায় গেলো? আওয়ামী লীগের লোকজনও তানসেনকে (বিজয়ী) ভোট দেয়নি। অথচ তাকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।’ .. ‘সারা বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল... আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে। উচ্চ আদালতে রিট করবো।’
- ট্যাগ:
- মতামত
- উপনির্বাচন
- ভোট জালিয়াতি
- হিরো আলম