‘ধর্ষণচেষ্টা’ করতে গিয়ে হামলায় আহত, পরে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ‘ধর্ষণচেষ্টা’ করায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা চালিয়েছেন এক গৃহবধূ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ওই গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরশাদুল ইসলাম মারা যান। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ছিলেন বলে পুলিশ ও দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূকে প্রথম ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ইতিমধ্যেই আদালতে এরশাদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করেন, ধর্ষণ মামলায় কিছুদিন কারাগারে ছিলেন এরশাদুল। জামিনে বের হয়ে এসে তিনি তাঁর স্ত্রীকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাজারে গেলে এরশাদুল তাঁদের বাড়িতে ঢুকেন। এরপর এরশাদুল তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী চিৎকার দিলে এরশাদুল দৌড়ে পালিয়ে যান। সন্ধ্যায় আবারও এরশাদুল তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এই সময় নিজেকে বাঁচাতে তাঁর স্ত্রী ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এরশাদুলের ওপর হামলা চালায়।