থ্রি ইডিয়টসের সেই প্রকৌশলী আসলে কে
থ্রি ইডিয়টস সিনেমায় রানছো চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিলেন বলিউড তারকা আমির খান। তার ওই চরিত্র কি পুরোটাই কাল্পনিক নাকি রানছোর মতো চিন্তাভাবনার মানুষ আসলেই পৃথিবীতে আছেন? লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া
কাল্পনিক নয়
২০০৯ সালে থ্রি ইডিয়টস নামে ভারতীয় এক চলচ্চিত্র বেশ আলোড়ন তোলে। ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ওপর কী পরিমাণ মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তাই ছিল সিনেমার বিষয়বস্তু। চেতন ভগতের উপন্যাস ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান থেকে কিছু অংশ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মকভাবে শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। থ্রি ইডিয়টসে বলা হয় তিন তরুণের কথা যারা ভারতের এক নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। সমাজের দৃষ্টিতে এই তিন তরুণ ঠিক চালাক-চতুর বা বাস্তববাদী নয়। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আর সব ছাত্রের মতো ভালো নম্বর পেয়ে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা নামেননি। থ্রি ইডিয়টসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রানছোদ্দাস শামালদাস ছানছার ওরফে রানছো মনে করেন, মুখস্থ করে কখনো কিছু সৃষ্টি করা যায় না। মুখস্থবিদ্যা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। গ্রেড সিস্টেমেরও পরিপন্থী সে। তার মতে, এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। রানছোরের মধ্যে সার্টিফিকেট পাওয়ার চেয়ে শেখার আগ্রহ ছিল বেশি। রানছোরের এসব চিন্তার সঙ্গে স্বভাবতই তার কলেজের শিক্ষক বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ড. ভিরু সাহাসত্রাবুদ্ধি একমত ছিলেন না। এ কারণে ভিরুর সঙ্গে রানছোরের প্রায়ই ঠোকাঠুকি লাগত। কাহিনীর একপর্যায়ে দেখা যায়, ভারতের উত্তরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখে রানছোরের তত্ত্বাবধানে স্কুলের শিশুরা বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি শিখছে। লবণ-পানি-বিদ্যুৎ বেশ ভালোভাবে পরিবহন করে এটি লাদাখের ওই শিশুরা মুখস্থ করে জানেনি। বৈজ্ঞানিক ওই সত্য সম্পর্কে তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান অন্য একজনের ওপর প্রয়োগ করে তাকে নাস্তানাবুদ করতেও তাদের দেখা যায়। একই সঙ্গে দর্শকরা জানতে পারেন, রানছোরের প্রকৃত নাম ফুনসুখ ওয়াংডু। বিশেষ কারণে তাকে নাম পাল্টে স্কুল-কলেজে ভর্তি হতে হয়েছিল। অনেকে জেনে অবাক হবেন, ফুনসুখ ওয়াংডু পুরোপুরি কাল্পনিক কোনো চরিত্র নয়। লাদাখে সোনম ওয়াংচুক নামে এক প্রকৌশলী আছেন, যার চিন্তাচেতনার ওপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয় ফুনসুখ ওয়াংডু চরিত্র।
- ট্যাগ:
- জটিল
- থ্রি ইডিয়েটস
- কাল্পনিক কথা
- কাল্পনিক