বিয়েতে মিনিমালিজম কনসেপ্ট

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:১৫

বাহুল্য কমিয়ে জীবনকে সহজ করে ফেলাই হচ্ছে মিনিমালিজমের মূল কনসেপ্ট। এই জীবনদর্শন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে বিয়ের আয়োজনের ক্ষেত্রেও।


চেনা/অচেনা পাঁচশো মানুষকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা ঝলমলে সোনার গয়নায় আগাগোড়া নিজেকে ঢেকে বিয়ের চল ধীরে ধীরে কমছে। সবকিছুতেই ‘মিনিমাল’ থাকতে পছন্দ করছে এখনকার প্রজন্ম। হাল আমলে বিয়ের আয়োজনেও মিনিমালিজম চোখে পড়ছে বেশ জোরেশোরেই। ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন সারার প্রবণতা বাড়ছে। 


ফ্যাশন ডিজাইনার ও সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার হাবিবা আক্তার সুরভী কথাই ধরা যাক। নিজের বিয়ের পোশাক নিজেই নকশা করেছেন তিনি। গয়না কিনেছেন চকবাজার ঘুরে। বাসার ছাদে খুব ছোট্ট পরিসরে কেবল কাছের মানুষদের নিয়েই সুরভী সেরেছেন বিয়ের সব আয়োজন। এমন ইচ্ছে কেন হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুইজনের কেউই অতিরিক্ত চাকচিক্য পছন্দ করি না। এছাড়া বিয়ের জন্য বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা নিইনি। সম্পূর্ণ নিজের খরচে বিয়ে করেছিলাম দুইজন। ফলে সাশ্রয়ী বাজেটের ব্যাপারটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’


সুরভী জানালেন, পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে কম বাজেটের মধ্যে গয়না কিনেছেন ঘুরে ঘুরে। পোশাক ও গয়না বাবদ খরচ হয়েছিল মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।



বিয়েতে ভারি ও জমকালো পোশাক পরার চলেও ধীরে ধীরে আসছে পরিবর্তন। জাঁকজমক পোশাকের চাইতে একটু ছিমছাম পোশাকে বিয়ে সারছেন এখনকার কনে। বিয়েতে লাল রঙের শাড়ির আবেদন চিরন্তন। তবে লালের পাশাপাশি সাদা, বেগুনি, গোলাপি, সোনালি এমনকি কালোর মতো রঙগুলোও আজকাল উঠে আসছে শাড়িতে।


ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাসের সঙ্গে কথা হলো এ বিষয়ে। তিনি জানালেন, বেনারসি বা ভারি কারুকাজ করা শাড়ি সাধারণত একবারের বেশি পরা হয় না। এখনকার কনেরা বিয়েতে এমন শাড়ি বেছে নিতে পছন্দ করছেন যেগুলো পরবর্তীতেও বিভিন্ন পার্টিতে পরা যায়। এই ধারণাকে সঙ্গে নিয়েই তাই রঙ বাংলাদেশ ছিমছাম বিয়ের পোশাক নিয়ে কাজ করছে। এই সংগ্রহে মূলত মসলিন ও বলাকা সিল্কের উপর স্কিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্ট ও কারচুপি দিয়ে কারুকাজ করা হচ্ছে। কেউ চাইলে অর্ডার দিয়েও এখান থেকে বানিয়ে নিতে পারবেন বিশেষ দিনে পরার পোশাক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও