কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে গেছে শাহবাগ

সমকাল মারুফ রসূল প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৪

আজ থেকে দশ বছর আগে- ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি- সব যুদ্ধাপরাধীকে সর্বোচ্চ শাস্তি ও তাদের রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে এক ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের সূচনা হয়েছিল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। ১৯৭১ সালের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে বর্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরিচালিত জেনোসাইডে যে বাঙালি কুলাঙ্গাররা প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়েছিল, ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল বাংলার নৃতাত্ত্বিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অস্তিত্বকে; তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতেই এক যূথবদ্ধ দ্রোহী বাংলাদেশ জেগে উঠেছিল সেদিন। যে দাবি নিয়ে ১৯৭২ সালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা সোচ্চার হয়েছিলেন, ১৯৭৯ সালে আন্দোলন শুরু করেছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ১৯৮৮ সালে ডা. এমএ হাসানের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল শহীদ লেফটেন্যান্ট সেলিম মঞ্চ, ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি; তারই ধারাবাহিকতার সূর্যমুখী উদ্বোধন ছিল ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন।


যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও মুক্তিসংগ্রামের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে গড়ে ওঠা এসব আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাস একটু মন দিয়ে পড়লেই বোঝা যায়- প্রতিটি আন্দোলনই একেকটি প্রজন্মকে তৈরি করেছে ভবিষ্যতের লড়াইকে সুসংহত করার লক্ষ্যে। সেই অর্থে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনও একটি প্রজন্মের মাঝে সঞ্চার করেছে মুক্তিসংগ্রামের ঐশ্বর্যমণ্ডিত চেতনা; তাদের সামনে মেলে ধরেছে বাংলার ইতিহাসের দার্ঢ্য আকাশ। এই প্রজন্ম কোথায় কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সে খবর আমাদের কাছে নেই; যেমন শহীদ জননী ও তাঁর সহযোদ্ধাদের কাছেও ছিল না আমাদের বেড়ে ওঠার পথে তাঁদের অনন্য অবদানের খতিয়ান। কিন্তু জাতির প্রয়োজনে, ইতিহাসের দায় শোধ করতে, ন্যায্যতার দাবিতে আমরা পথে নেমেছিলাম। এ কারণেই শাহবাগ থেকে বারবার এই সত্য উচ্চারিত হয়েছিল- আমরা শহীদ জননীর সন্তান।


২০১৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকার মোঃ আবদুল হামিদের কাছে সুনির্দিষ্ট ছয় দফাসংবলিত যে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছিল শাহবাগ আন্দোলনের সুস্পষ্ট গতিপথ।


নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার। কারণ বাংলাদেশ শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে না-পারার ব্যর্থতাতেই রক্তাক্ত ছিল না; বরং এই ক্ষত আরও বেদনাদায়ক হয়েছিল ২০০১ সালে খোদ যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে উঠেছিল রাষ্ট্রীয় পতাকা। পঁচাত্তর-পরবর্তীকালে যুদ্ধাপরাধীরা ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল। আর ২০০১ সালের পরের বাংলাদেশে আমাদের জন্য হতাশা ছাড়া কোনো দৃশ্যকল্প ছিল না; বিলাপ ও আর্তনাদ ছাড়া কোনো উচ্চারণ ছিল না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও