চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিকল্পও ভাবুন

প্রথম আলো সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৪

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ইনস্টিটিউশনাল বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রাইভেট প্র্যাকটিস প্রচলনের আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯-এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে এ–সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির একটি খসড়া প্রক্রিয়াধীন ছিল। তাই জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইনস্টিটিউশনাল প্রাইভেট প্র্যাকটিস প্রচলনের প্রয়োজনীয়তা এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।


ইনস্টিটিউশনাল প্রাইভেট প্র্যাকটিস বলতে বোঝায় সাধারণত হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পর ব্যক্তিগত বা সম্মিলিতভাবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে প্র্যাকটিসের সুযোগ তৈরি করা।


বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত অধিকাংশ চিকিৎসক নির্ধারিত কর্মঘণ্টার (সকাল ৮টা-বেলা ২–৩০) পর ব্যক্তিগত চেম্বার বা বেসরকারি হাসপাতাল/ ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করেন। এ ক্ষেত্রে ধারণা করা হয়, নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পর সরকারি হাসপাতালে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের বিধান চালু করা হলে রোগীর চিকিৎসা ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস পাবে।


তা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর দৌরাত্ম্য কমবে। কেননা, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কনসালটেশন ফি এবং ডায়াগনস্টিক টেস্টের ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় অত্যধিক। অধিকন্তু সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মূল্য হ্রাস পেতে পারে এবং গুণগত মান উন্নত হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসমূহ পূর্ণকালীন চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ পাবে। এসব উদ্দেশ্য যথাযথভাবে অর্জনের লক্ষ্যে ইনস্টিটিউশনাল প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালুর বিধান প্রণয়ন করা উচিত বলে একটি মত প্রচলিত আছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে ইনস্টিটিশনাল প্রাইভেট প্র্যাকটিস চালু আছে।


প্রথমে জানা যাক ইনস্টিটিউশনাল প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। বহির্বিভাগ চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় মূলত ওষুধ ও রোগনির্ণয় পরীক্ষার ব্যয়ের ওপর নির্ভর করে। ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে রোগীকে বিনা মূল্যে বা স্বল্প মূল্যে ওষুধ প্রদানের সুযোগ নেই। তাই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় হ্রাসে রোগনির্ণয় পরীক্ষার ব্যয় কমানোর ওপর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে রোগনির্ণয় পরীক্ষাব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও