রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলারে
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে। তবে আগামী অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে তা বাড়বে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিয়ে তৈরি এক প্রতিবেদনে রিজার্ভের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
গত সোমবার রাতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের পর সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। সেখানেই রিজার্ভ নিয়ে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ঋণ পরিশোধ; বিদেশ থেকে পণ্য, কাঁচামাল আমদানিসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব ধরনের লেনদেনে রিজার্ভে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। ফলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে গেলে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অর্থনীতির গতি কমে যায়। এ ছাড়া রিজার্ভ কমে গেলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধেও বিলম্ব হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। বর্তমানে তা ৩ হাজার ২৯৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে রিজার্ভ আরও কমে তিন হাজার কোটি ডলারে নেমে আসবে।
তবে আগামী অর্থবছর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পর্যায়ক্রমে বাড়বে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এর পরের দুই অর্থবছরেও প্রায় ৬০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ বাড়বে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ হবে ৫ হাজার ৩১০ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগামী ৪ অর্থবছরের মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে।