সরকার কি আদৌ সজাগ হবে

প্রথম আলো সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৩৪

দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান একই স্থানে ঘুরপাক খাচ্ছে। কোনো বছর এক ধাপ এগোলে, পরের বছর পিছিয়ে যায়। কখনো এই অবনমন আগের অগ্রগতির চেয়েও বেশি। আমরা যদি ২০১৯ সাল থেকে হিসাব করি, ১৪তম স্থান থেকে ১২তম স্থানে চলে এসেছি।


বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতির ধারণাসূচক ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। এর আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৩তম। সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০ দেশের মধ্যে এক ধাপ পিছিয়ে হয়েছে ১৪৭তম, গত বছর ছিল ১৪৬তম। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। এর আগের ১৪তম অবস্থান থেকে ২ ধাপ নিচে।


দুর্নীতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে টিআই ব্যক্তিগত সুবিধা লাভের জন্য সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারকে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশে যে এই ক্ষমতার অপব্যবহার মহামারি আকারে রূপ নিয়েছে, তা ব্যাখ্যা করতে টিআই বা অন্য কোনো সংস্থার প্রতিবেদনের প্রয়োজন পড়ে না। খোলাচোখেই দেখা যায় কীভাবে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দুর্নীতি বেড়েছে বলেই দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র আফগানিস্তান ছাড়া সব দেশের পেছনে আমরা।


বাংলাদেশের ওপরে আছে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা ঘোষণাকারী সরকারের জন্য এটা মোটেই স্বস্তিকর নয়। উদ্বেগের কথা হলো গণমাধ্যমে কিংবা বেসরকারি সংস্থার গবেষণায় যেসব দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসে, সরকার তা যাচাই করারও প্রয়োজন বোধ করে না; সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও