বাংলাদেশে গাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিতে জাপানের প্রতি আহ্বান
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশেনের সঙ্গে জাপানি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মিতসুবিশির সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে মোটরগাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নিতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) শিল্পমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে কাজ করছেন বলে শিল্পমন্ত্রীকে জানান। এছাড়া ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার আদলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন শিল্পমন্ত্রী।
জাপানি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। শিল্পমন্ত্রী জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী জাপান সফরের সময় জাপানি ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অতীতে যেভাবে পাশে থেকেছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রেও সেভাবে পাশে থাকবো। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্ত প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমের সহযোগিতা করবে বাংলাদেশকে। তিনি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি স্থাপনের বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে আমরা শিগগির সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করবো।