কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমলারা অবসরে গিয়েই এমপি হতে চান কেন?

সমকাল আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:৩৪

সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের পর তিন বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করা নিষিদ্ধের বিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এই রুল দেন, যেখানে আদালত জানতে চেয়েছেন- অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? (ডেইলি স্টার অনলাইন, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩)।


নির্বাচনী আইন বা 'দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার, ১৯৭২'-এর ১২(১)(চ) ধারায় বলা হয়েছে- 'সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো সামরিক বাহিনী হতে পদত্যাগ কিংবা অবসর গ্রহণের তিন বছরের মধ্যে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।' এখন উচ্চ আদালত যদি এই বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করেন এবং আপিল বিভাগেও এটি বহাল থাকে, তাহলে সরকারি বা সামরিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের পরপরই নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না।


আমলাদের 'বুদ্ধিমত্তা' নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও অভিজ্ঞ সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একটি গল্প বলেছিলেন। একটি প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন মন্ত্রী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো কারণে সেটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রী দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন- যে ফাইলে তিনি 'নট অ্যাপ্রুভড' লিখে সই করেছেন, সেটি কী করে এখন অনুমোদন দেবেন? তাঁর দপ্তরের একজন আমলা পরামর্শ দিলেন, ফাইলে একটা 'ই' যোগ করে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। তাহলে 'নট অ্যাপ্রুভ' হয়ে যাবে 'নোট অ্যাপ্রুভড'। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এর নাম দিয়েছিলেন 'ই-তত্ত্ব'।


যুগে যুগে এভাবেই রাজনীতিবিদরা তাঁদের অভিজ্ঞ, বুদ্ধিমান ও চতুর আমলাদের সহায়তায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। যে কারণে দেখা যায়, অনেক ঝানু আমলা রাজনীতিবিদদের ওপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করেন। কখনও সেটি নিয়ন্ত্রণে পর্যবসিত হয়। অনেক আমলা অবসরে যাওয়ার পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং দলের ভেতরেও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও