মোদীকে নিয়ে বিবিসির ডকুমেন্টারি ব্লক করা নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে বিবিসির তৈরি ডকুমেন্টারি ভারতে নিষিদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘আমরা বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মাচরণের স্বাধীনতা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এই নীতির গুরুত্ব তুলে ধরি আমরা। আমরা বিশ্বজুড়ে এই নীতি কার্যকরের ওপর জোর দিয়েছি। ভারতেও তুলে ধরেছি এই একই নীতি।’
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই গুজরাট দাঙ্গার সময় নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি বিবিসি তথ্যচিত্র নিয়ে ভারতে বিতর্ক চলছে। একদিকে যেখানে জেএনইউ-তে এই ডকুমেন্টারি দেখানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, ঝামেলা হয়। সেখানে হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হওয়ার পর মামলা দায়ের হয়। তিরুবনন্তপুরমেও এই ডকুমেন্টারি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছিল বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। এই আবহে এবার ডকুমেন্টারি বিতর্ক ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকাতে পৌঁছেছে।
এর আগেও এই ডকুমেন্টারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন নেড প্রাইস। তবে সেই সময় এই ইস্যুটি পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু নিয়ে অবগত নন। নেড প্রাইস বলেন, ‘আমি এই ধরনের কোনও তথ্যচিত্র সম্বন্ধে অবগত নই।’ নেড প্রাইস আরও বলেছিলেন, ‘আমি বিস্তৃতভাবে যা বলতে পারি, তা হল এমন অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা আমাদের সঙ্গে ভারতের বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে রক্ষা করে। আমাদের দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের জনগণের মধ্যেও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এরই সঙ্গে আমরা দুই দেশই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধও লালল করি। এই মূল্যবোধগুলোই আমেরিকান গণতন্ত্র এবং ভারতীয় গণতন্ত্রকে এক সূত্রে গাঁথে।’ পাশাপাশি নেড প্রাইস উপমহাদেশে আঞ্চলিক শান্তি বজায় থাকার বিয়ে আশা ব্যক্ত করেন। তবে আজ কিছুটা সুর বদল করলেন নেড প্রাইস।