ক্রয়াদেশ ‘কমছে’, রেকর্ডের পরও শঙ্কিত পোশাক রপ্তানিকারকরা
গেল দুই মাসে অভাবনীয়ভাবে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি হলেও বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারায় ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্প মালিকরা।
রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলছেন, গত চার মাস ধরে পোশাকের ক্রয়াদেশ কমছে; এটাই তাদের শঙ্কার মূল কারণ।
গতবছর জুনে ক্রয়াদেশ থাকলেও গ্যাস সঙ্কটের কারণে পোশাক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছিল। এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পোশাকের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে যায়।
সেপ্টেম্বরে ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। আর অক্টোবরে ৩৫০ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা ২০২১ সালের অক্টোবরের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম।
তবে রপ্তানিকারকদের আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে নভেম্বর মাসে ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।
এরপর ডিসেম্বর মাসে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়, রপ্তানি হয় ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ডলারের পণ্য।
টাকা বা ডলারের হিসাবে ডিসেম্বর মাসে যে পরিমাণ রপ্তানি আয় হয়েছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মাসের সর্বোচ্চ।