নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন শিক্ষা ব্যয়ের চাপ কমাবে

সমকাল রাশেদা কে চৌধুরী প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:০৪

রাশেদা কে. চৌধুরী গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক। ২০০৮ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, মহিলা ও শিশু এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রাশেদা কে. চৌধুরীর জন্ম ১৯৫১ সালে সিলেটে।


এবারের আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবসের প্রতিপাদ্যে শিক্ষায় বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ইউনেস্কো প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে আমরা দেখছি দেশে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার বহন করছে। শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ কম বলেই কি পরিবার এমন চাপ বহন করছে?


রাশেদা কে. চৌধুরী: শিক্ষা ব্যয়ের এ চিত্র যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ইউনেস্কোর রিপোর্টে যা উঠে এসেছে, তা শুধু বাস্তব নয়- এটিই এখন প্রবণতা হয়ে উঠেছে। এটি সত্য, অভিভাবকদের পকেট থেকে শিক্ষা ব্যয়ের ৭১ শতাংশ যাওয়ার বড় কারণ, শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ কম। দ্বিতীয় কারণ, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ যেখানে যেভাবে হওয়া দরকার, সেভাবে হচ্ছে না। তৃতীয় কারণ হলো, শিক্ষাব্যবস্থা প্রধানত পরীক্ষানির্ভর হয়ে উঠেছিল।


শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ কম মানে বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম?


রাশেদা কে. চৌধুরী: বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। দীর্ঘদিন ধরে বরাদ্দ জিডিপির ২ থেকে আড়াই শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা মনে করি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে জিডিপির অন্তত ৪ থেকে ৬ শতাংশ এ খাতে বরাদ্দ জরুরি। ইউনেস্কোও শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ বরাদ্দের সুপারিশ করেছে। শিক্ষা খাতে অনুদার বরাদ্দ আমরা প্রায়ই দেখে থাকি। করোনার কারণে শিক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সময়ে শিক্ষকদের সামান্য কিছু ভাতা দেওয়া ছাড়া এ খাতে বিশেষ কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বললেই চলে। অথচ অন্য প্রায় সব খাতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষায় কেমন ক্ষতি হলো, তা যেমন নির্ণয় হয়নি; তেমনি ক্ষতি পোষাতেও বিনিয়োগ দৃশ্যমান ছিল না। মানব সক্ষমতা বিনির্মাণের খাত এভাবে অবহেলিত থাকলে ভবিষ্যতে গার্মেন্টের মতো অন্য খাতেও দেশের বাইরে থেকে দক্ষ জনশক্তি এনে চালাতে হবে। এটি বাঞ্ছনীয় নয়।


আপনি করোনার কথা বলছিলেন। সমকালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, করোনায় ঝরে পড়া শিশুরা আর ফেরেনি। শিক্ষা খাত সেভাবে প্রণোদনা পেলে দরিদ্র পরিবারের এসব শিশুর অন্তত একটা অংশকে কি আমরা ফিরিয়ে আনতে পারতাম না?


রাশেদা কে. চৌধুরী: করোনা মহামারির সময় বড় একটি জনগোষ্ঠী খাদ্য ও আয় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে। ওই সময় অনেক অবস্থাপন্ন পরিবারও আর্থিক সংকটে পড়ে। দরিদ্র পরিবারের কথা বলা বাহুল্য। সে জন্য দরিদ্র পরিবারের অনেকেই তাদের সন্তানদের কাজে লাগিয়ে দিয়েছে। স্কুলপড়ূয়া অনেক মেয়ের এ সময়ে বিয়ে হয়ে গেছে। যারা শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছে, প্রণোদনার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়তো কঠিন হতো না, কিন্তু সেটি করা হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও