শীতেও তেমন উত্তাপ ছড়াল না রাজনীতি

www.ajkerpatrika.com বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৫৯

বছরের শেষ দিকে এসে মনে হচ্ছিল এবার শীতটা রাজনৈতিক উত্তাপেই কাটবে। বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ ডেকে হঠাৎ চাঙা হয়ে উঠেছিল। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশের আগে তারা বেশ জমিয়ে ফেলেছিল। সরকারের বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে একের পর এক বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে শেষ করে সরকারের সামনে কিছুটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়ে বেশ লম্বা সময় পর রাজনৈতিক মহলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছিল ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। বিএনপির পেছনে মানুষ নেই, তারা মুখে বড় বড় কথা বললেও বড় সমাবেশ করার ক্ষমতা নেই–এমন বিদ্রূপ তাদের শুনতে হয়েছে। অথচ বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো; বিশেষ করে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিলেও দলীয় সমর্থকদের সভাস্থলে উপস্থিত করার বিকল্প ব্যবস্থা করতে সফল হয়েছিল বিএনপি। কয়েকটি মহাসমাবেশে তো এক-দুদিন আগে থেকেই মানুষ উপস্থিত থেকে বিএনপির শক্তির জানান দিয়েছে।


বিভিন্ন সমাবেশে বড় জমায়েত দেখে বিএনপি নেতাদের কারও কারও সম্ভবত মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় এত বিশাল সমাবেশ হবে, যা সরকারের ভিত কাঁপিয়ে দেবে, সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে। বিএনপি হয়তো সরকারের ভিত ও জনসমর্থনের দিকটি হালকাভাবেই দেখেছিল। আওয়ামী লীগ যে ভুঁইফোড় রাজনৈতিক দল নয়, কিংবা টোকাইদের দিয়ে গড়া দল নয়, এটা বিএনপির মাথা গরম নেতৃত্ব বিবেচনায় নিতে ভুলে গিয়ে এমন বক্তব্যও দিয়ে ফেলে, ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে। লন্ডনে ‘পালিয়ে থাকা’ দলের কান্ডারি তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথাও বলা হয়। ব্যস, সরকার নড়েচড়ে বসে। ধরে নেওয়া হয়, বিএনপির কোনো বদমতলব আছে সরকার ফেলে দেওয়ার। সরকারি প্রশাসন তৎপর হয়ে ওঠে। আওয়ামী লীগ ও সরকার কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায় বিএনপি।


ঢাকায় বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চাইলে সরকার আপত্তি জানায়। সরকার চেয়েছিল বিএনপির সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিতে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার বিষয়ে বিএনপি অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে হেরে গেছে। সমাবেশ নিতে হয়েছে গোলাপবাগে। গোলাপবাগের সমাবেশে লোকসমাগম কম হয়েছে, না বেশি হয়েছে, তার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে এটা যে বিএনপিকে সিদ্ধান্ত থেকে নড়াতে পেরেছে সরকার তথা আওয়ামী লীগ। এটা বিএনপির পিছু হটা, আওয়ামী লীগের সাফল্য। এতে মানুষের কাছে এই বার্তা যায় যে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের ইচ্ছামতোই চলতে হয়।


৭ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় এক বিএনপি কর্মী নিহত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির অবস্থান দুর্বল হতে থাকে। পুলিশ অভিযান চালায় বিএনপির অফিসে। প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একা একা কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ফুটপাতে কয়েক ঘণ্টা অসহায়ের মতো বসে ছিলেন। দলের শত শত নেতা-কর্মীর কেউ সাহস করে তাঁর পাশে গিয়ে বসেননি। এর থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার চিত্র ফুটে ওঠে। দলীয় অফিসে হামলা এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর কোনো বড় ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করতেও পারেনি বিএনপি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও