কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংখ্যালঘুরা রাজনীতির দাবার ঘুঁটি হতে চায় না

প্রথম আলো রানা দাশগুপ্ত প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৫

রানা দাশগুপ্ত। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর। আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছে। এই সময়ে সংখ্যালঘুরা কি বেশি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের ওপর হামলা কি বন্ধ হয়েছে, আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কী ভূমিকা নেবে—এসব প্রশ্ন নিয়ে প্রথম আলো মুখোমুখি হয় রানা দাশগুপ্তর।


গত বছর এক সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে অনেকে আছেন, যাঁরা চান না সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা হোক। কারা তাঁরা?


রানা দাশগুপ্ত: সরকারের মধ্যে তো সরকার আছে, দলের মধ্যেও দল আছে, আমলাতন্ত্রে পাকিস্তান আছে, প্রশাসনে সাম্প্রদায়িকতা আছে। এসব কারণে পার্বত্য চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও সেটি কার্যকর হয় না, ভূমি কমিশন হওয়া সত্ত্বেও তা বাস্তবায়িত হয় না। আবার অর্পিত সম্পত্তি আইন পরিবর্তিত হয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ছয়টি সংশোধনী এনে এটিকে আরও ইতিবাচক করা হয়েছে। কিন্তু এরপর ৯ বছর হয়ে গেল। সমতলের সংখ্যালঘুরা ভূমির অধিকার ফিরে পাননি, জাতিগত সংখ্যালঘুদের ভূমির অধিকার আজও নিশ্চিত হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা আছে বলে মনে করি। সদিচ্ছা না থাকলে এসব চুক্তি বা আইন হতো না। কিন্তু জমি ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সেটা করছে কারা? আমরা সেখানে বলছি আমলাতন্ত্রে ভূত আছে, সেটা পাকিস্তানি ভূত। তারা পাকিস্তানি মানসিকতা নিয়ে আজও প্রশাসন ও সরকারকে চালাতে চায়। সরকারি দলের মধ্যেও সেটা আছে।


কুমিল্লার ঘটনাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন? সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও অত্যাচার করার জন্য বিএনপিকে বর্জন করেছিলেন। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছেন। আওয়ামী লীগ কি আপনাদের সেই সুরক্ষা দিয়েছে?


রানা দাশগুপ্ত: ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, সেই আন্দোলন বিভ্রান্ত করার জন্য বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলেছে, এ কথা বলে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিন দিন রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে। গণ-আন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করলেন, সংসদীয় নির্বাচন হলো। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে। সেদিনই বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া বিবৃতি দিলেন। বিবৃতিতে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার কথা বললেন এবং কোনো ধরনের সমস্যা যাতে সৃষ্টি না হয়, তার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানালেন। বিবৃতির পর আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু পরদিন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হলো। চলল একটানা ২৭ দিন। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের সহিংসতা আশা করিনি। কিন্তু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেটি শুরু হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করল। সেই সরকারের আমলে আগের সরকারের মতো সহিংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটবে, সেটা আমাদের ভাবনার অতীত ছিল। কিন্তু সেই যে ২০১১ সালে রামু, উখিয়া, টেকনাফ থেকে শুরু হলো; ২০২১ সালের দুর্গাপূজার সময় পর্যন্ত একটানা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সে অর্থে বিএনপি সরকারের আমলে যত ঘটনা ঘটেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার চেয়ে কম ঘটেছে বলে আমরা মনে করছি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও