রাজধানী ঘিরিয়া আবাসন প্রকল্পের নামে যাহা চলিতেছে, যেই কোনো বিচারেই উহা অরাজকতার নামান্তর। শনিবার সমকালে প্রকাশিত শীর্ষ প্রতিবেদনসূত্রে জানা যাইতেছে- কেরানীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দুই শতাধিক বেসরকারি আবাসন প্রকল্প গড়িয়া উঠিয়াছে; যেগুলি কয়েক বৎসর পূর্বেও ছিল নিখাদ কৃষিজমি, জলাশয় কিংবা বনবাদাড়। ঢাকা মহানগরের পরিকল্পিত বিকাশ ও নাগরিক সুবিধা সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকার প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ অনুসারে ঐ সকল এলাকায় আবাসন প্রকল্প সম্পূর্ণ অবৈধ। স্বাভাবিকভাবেই এই সকল প্রকল্প রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের ভূমি উন্নয়ন ও নির্মাণকাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউকের অনুমোদন পায় নাই; কিন্তু তদসত্ত্বেও তথাকার প্লট বিক্রয় থামিয়া নাই; বরং কোনো কোনো প্রকল্প অবৈধভাবে হইলেও ভবনও উঠিয়াছে।
ইহার ফলে, প্রতিবেদনমতে- যে জমির মূল্য কিছুদিন পূর্বেও ছিল প্রতি কাঠা ৪-৫ লক্ষ টাকা, উহাই বর্তমানে বিক্রয় হইতেছে ২০-২৫ লক্ষ এমনকি ৫০ লক্ষ টাকায়। উল্লেখ্য, এই অবৈধ আবাসন প্রকল্পসমূহে অতি উচ্চমূল্যে প্লট ক্রয় করিয়া শুধু ক্রেতারাই ঠকিতেছেন না, জমির মূল মালিকেরাও- যাহারা অনিবার্যভাবে ক্ষমতাহীন সাধারণ মানুষ- নানা প্রতারণার শিকার হইতেছেন। অভিযোগ রহিয়াছে, অনেক প্রকল্পেই জমি ভাড়া লইয়া তথায় আবাসন প্রকল্পের সাইনবোর্ড বসাইয়া দেওয়া হয়; প্লট বিক্রয়ের সময় মূল মালিককে সামান্য অর্থ ধরাইয়া দিয়া প্লট ক্রেতার অনুকূলে নিবন্ধন দিতে বাধ্য করা হয়।