You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আগে চাই বামপন্থিদের বোধোদয়

নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত, বৈষম্যের বাইরে আমাদের সম্প্রীতির জগৎটি কিন্তু ক্ষুদ্র নয়। অনেক বিশাল ও বিস্তৃত। যেমন ইতিহাসে, তেমনি আমাদের পরিবার ও সমাজ জীবনে। সম্প্রদায়গত বিভেদ-বিভাজন ইংরেজদের সৃষ্ট এবং আরোপিত। তাদের ইন্ধনেই উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে প্রথম আঘাত এসেছিল। যার ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত রয়েছে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে। রক্তাক্ত দেশভাগের কালে প্রত্যক্ষদর্শী আমার প্রয়াত পিতার কাছে জেনেছিলাম, কলকাতার দাঙ্গায় বাঙালি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় অংশ নেয়নি। তারা একে অপরকে রক্ষায় তৎপর ছিল। বাঙালিদের সম্প্রীতি অটুট থাকলেও হিন্দুদের পক্ষে পাঞ্জাবি-শিখরা এবং মুসলমানদের পক্ষে বিহারি মুসলমানরা দাঙ্গা করেছিল। অথচ দাঙ্গা না করেও নিরীহ বাঙালি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছিল সেই সময়।

পূর্ববঙ্গে দাঙ্গা হয়েছিল একতরফা-একপেশে। প্রতিপক্ষ হিন্দু সম্প্রদায় দাঙ্গা আঁচ করে বিনা প্রতিরোধে দেশত্যাগী হয়েছিল। তাই এখানে দাঙ্গা ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। পাকিস্তান সৃষ্টির পর ১৯৫০-এর দাঙ্গার মূলে ছিল বিহার থেকে পূর্ব পাকিস্তানে আসা বিহারিরা। যারা দাঙ্গায় ছিল পারদর্শী আর তাদের পক্ষে ছিল পাকিস্তান রাষ্ট্র এবং ক্ষমতাসীন লীগ সরকারও। সে কারণে তারা এ দেশের বাঙালি মুসলমানদের ওপরও বেপরোয়া কর্তৃত্ব পর্যন্ত করেছিল। চট্টগ্রামের ব্রিটিশবিরোধী বিদ্রোহের মহানায়ক সূর্য সেনের কাকা গৌরমণি সেন, যিনি পিতৃহারা সূর্য সেন এবং তাঁর পুরো পরিবারকে প্রতিপালন করেছিলেন, সেই গৌরমণি সেনের এক পুত্রকে পঞ্চাশের দাঙ্গায় প্রাণ দিতে হয়েছিল চট্টগ্রামে। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী সূর্য সেনের এক ভাইকে প্রাণ দিতে হয়েছে ব্রিটিশমুক্ত স্বাধীন (!) স্বদেশে। কী নিষ্ঠুর-নির্লজ্জ দেশভাগের পরিণতি! এরপরই সূর্য সেনের পুরো পরিবার দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন