ঢাকার বায়ুতে আয়ুর টান
গড় আয়ুসহ কিছু সূচকে আমাদের অগ্রগতি অনেকটা বিরতিহীনভাবে চলমান। ধাবমানও। তা কারও দয়ায় নয়, আপনাআপনিও নয়। এর পছনে লুকিয়ে আছে ইতিবাচক নানা কারণ। সমালোচনা-অতৃপ্তি থাকলেও আমাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার উন্নতি হয়েছে। কমেছে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার। কমের মধ্যেও জনসচেতনতা বেড়েছে। শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি, ছোঁয়াচে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উন্নতিও এর পেছনের একেকটি মোটা দাগের কারণ। এসবের রসায়নে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু বাড়তে বাড়তে এখন ৭২ দশমিক ৮ বছরে উন্নীত হয়েছে। সামনে তা আরও বাড়বে, সেই আশা জাগাই স্বাভাবিক। আয়ুর সঙ্গে মানুষের আয়ও বেড়েছে। তা মোটেই যেনতেন বিষয় নয়। কিন্তু অবিরাম বায়ুদূষণ আমাদের বর্ধিষ্ণু আয়ুতে টান ফেলার শঙ্কা তৈরি করছে।
নতুন বছরটি শুরুই হয়েছে দূষিত বায়ুর খুব বাজে সূচকের খবর দিয়ে। মন্দ খবর মধ্য জানুয়ারিতেও। বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় ১৪ জানুয়ারি সকালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নাম। দিনটির সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার স্কোর ছিল ২৪৭। একই সময়ের ইনডেক্সে ঢাকার পরেই ভারতের রাজধানী দিল্লির অবস্থান (২০৪)। আর ১৮৭ স্কোর নিয়ে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ তৃতীয় স্থানে। চতুর্থ স্থানে ঘানার রাজধানী আক্রা (১৬২)। মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর ১৬২ স্কোর নিয়ে পাঁচে। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর (১৫৮)। উগান্ডার কাম্পালা ১৫৭ স্কোর নিয়ে সাতে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এই তালিকা প্রকাশ করে।