সংগৃহীত আমানত পল্লিতে বিতরণ বৃদ্ধির সুপারিশ
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পল্লি অঞ্চল থেকে সংগৃহীত আমানত বিতরণ করা হচ্ছে শহরে। এজেন্ট ব্যাংকিয়ে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় পল্লি অঞ্চলে বিতরণ করা যাচ্ছে না।
এ আমানত পল্লি অঞ্চলে বিতরণ করা গেলে ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে, কর্মসংস্থান হবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনে এজেন্ট ব্যাংকিং সরাসরি অবদান রাখতে পারবে। এমন ধারণা করছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।
প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি এ সম্পর্কিত একটি জরিপ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণকারী সংস্থার (এনজিও) নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকেও (এমআরএ) পাঠিয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়, শাখা না খুলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহার করে কম সময়ে পল্লি অঞ্চল ও শহরের দরিদ মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহে বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ, যারা ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যবহারের বাইরে বসবাসকারী বিশাল জনগোষ্ঠী। এসব মানুষ শরাঞ্চলের মতো নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত- গ্রামাঞ্চল, হাওর, বিল, চরাঞ্চল উপকূল ও পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। তারা সবাই নিম্ন ও নিম্ম-মধ্যবিত্ত মানুষ।
এসব মানুষ আমানত হিসাবে টাকা রাখতে পারলেও ঋণ হিসাবে পাচ্ছে না। জরিপে উঠে আসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পর্যাপ্ত জনবল না থাকার কারণে ঋণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। আমানত চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিলে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়, আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। একই সময়ে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র ৩০৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ আরও কম। অর্ধাৎ পল্লি অঞ্চলে বিতরণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বাকি ৯৬ শতাংশ চলে গেছে শহরের শিল্প, ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের ভোক্তা ঋণে।
পরবর্তী তিন বছরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পল্লি অঞ্চল থেকে সংগৃহীত আমানত শহরে পাঠানোর হার আরও বেড়েছে। আর কমেছে পল্লিতে ঋণ বিতরণের হার।