মায়ের ডায়ালাইসিসের খরচ জোগানো ছেলে কেন কারাগারে?

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:০৪

রাজধানী ঢাকা শহরে বাসে চড়তে গিয়ে একটি দৃশ্য সবারই পরিচিত। কিডনি ডায়ালাইসিসের খরচের জন্য কেউ না কেউ সাহায্য চাইছেন। রোগী নিজেই বা রোগীর ছেলে বা মেয়ে বাসে উঠে কাকুতিমিনতি করে যাত্রীদের কাছে অর্থ সাহায্য চান।


একই দৃশ্য আপনি দেখবেন ঢাকার অধিকাংশ মসজিদের সামনেও। নামাজ শেষে যখন মুসল্লিরা বের হয়ে যান, তখন গেটের সামনে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে থাকেন। উদ্দেশ্য একই, নিজের বা পরিবারের কারও কিডনি ডায়ালাইসিসের খরচ জোগাড় করা।


যদিও এমন দৃশ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে আমাকে ঢাকায় আসতে হয়নি। বেড়ে ওঠার শহর চট্টগ্রামেই রাস্তায়, বাসে বা মসজিদের সামনে অহরহ দেখা যায়। তার মানে এ নয়, যারা মানুষের কাছে হাত পাতছেন, তাঁরা সবাই গরিব বা দরিদ্র। কিন্তু নিজের বা পরিবারের কারও কিডনি রোগ তাঁদের অনেককে পথেই নামিয়ে এনেছে। যাঁরা কিডনি রোগীর সঙ্গে পরিচিত নন বা কারও পরিবার বা আত্মীয়স্বজন এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েননি, তাঁরা কোনোভাবেই সেই কাকুতিমিনতি বা অসহায় পরিস্থিতি বোঝার কথা নয়।


আসুন, এবার একজন কিডনি রোগীর সঙ্গে পরিচত হই। ২৭ বছরের যুবক মো. আসাদুল হক। চট্টগ্রাম শহরের বন্দরটিলা এলাকার এ বাসিন্দা একটা সময় ক্রেন চালাতেন। মাকে নিয়ে সচ্ছল সংসার ছিল। কিন্তু একসময় দুটি কিডনিই বিকল হয়ে যায় আসাদুলের। এরপর থেকে আর কিছুই করতে পারেন না। মাসে ডায়ালাইসিস করাতে হয় ১২ বার। সরকারি ভর্তুকি মূল্যে প্রতি মাসে তাঁর ডায়ালাইসিসের খরচ পড়ে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। ভাবুন তো, এই দূর্মল্যের দিনে কর্মক্ষমতা হারানো একটা মানুষের শুধু ডায়ালাইসিসের পেছনেই মাসে এত টাকা খরচ! সংসার খরচ, মায়ের চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ কোত্থেকে আসবে?


দিন শেষে আসাদুলকে বসতে হয় মসজিদের সামনে। হাত পাততে হয় মুসল্লিদের কাছে। সরকার ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সেই খরচ মাসে গিয়ে ঠেকে ২০ হাজার টাকা। এটি কি ভাবা যায়?


সামর্থ্যহীন, দরিদ্র, অসহায় কিডনি রোগীর জন্য তো রীতিমতো আত্মহত্যার শামিল!
মানুষের বেঁচে থাকার যে মৌলিক পাঁচটি চাহিদা আমাদের সংবিধানস্বীকৃত, স্বাস্থ্যসেবা তার অন্যতম। অথচ সম্প্রতি প্রকাশিত পাওয়া সরকারি প্রতিবেদনেই আমরা দেখছি, স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয়ের অংশ বছর বছর কমছে। বিপরীতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেশের মানুষের ওপর আর্থিক বাড়ছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য ব্যয়ের তিন-চতুর্থাংশ বহন করতে হচ্ছে ব্যক্তি নিজেকেই। ডায়ালাইসিসের ভর্তুকি কমানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই সেটি যেন আরও বেশি প্রতীয়মান হয়।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও