হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি করিস যদি তেড়িবেড়ি!

যুগান্তর বদিউর রহমান প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪২

এখন আমার মাও নেই, বাবাও নেই-আমার যে কী আনন্দ লাগছে। অনেক সময় মা-বাবা না থাকা বেশ আনন্দের হয়। কারণ এখন অনেক ছেলেমেয়ে মা-বাবাকে আগের মতো সম্মান তো করেই না, বরং অসম্মানের চরমেও নিয়ে যায়। পত্রপত্রিকার খবরে এ ধরনের অসম্মানের কত খবর যে পড়ি, তার তালিকা বড়ই হবে। একবার পড়লাম, বাবা নিজের জায়গা-জমি ছেলেদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে দিয়েছেন। পরে এক ছেলের কাছে কিছু ধান চান। ছেলেটি রেগে গিয়ে এক আঘাতেই বাপকে মেরে ফেলল।


আমার বেগমকে খবরটা পড়ে শোনালাম, চোখের পানি পড়ল; বললাম, আমার কী হবে? মা-বাবাকে কোনো কোনো সন্তানের রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে আসার খবর তো আছেই। নিজেদের বড় বড় ঘর থাকলেও মা-বাবার জন্য জায়গা হয় না, কেউ হয়তো গরুর ঘরে রেখে আসে, কেউবা রাস্তায় ছেড়ে দেয়।


বৃদ্ধাশ্রমের কত কাহিনি পড়লাম আর আবেগে অশ্রুপাত করলাম। বাবা-ছেলে একসঙ্গে বৃদ্ধাশ্রমে থাকবে একসময়ে-সেই কালজয়ী গানও অনেককে ভাবায় না। বড় বড় উচ্চশিক্ষিত মানুষের সন্তানদের কারও কারও মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখার খবর বড় কষ্ট দেয়। প্রায়ই চোখ বুজে নিজের ভাবী পরিণতি নিয়ে ভাবি। তাই বলি, আমার মা-বাবা নেই বলে আমি অন্তত তাদের সঙ্গে তেমন কোনো ব্যবহার করার সুযোগ পাব না-এতেই আমার রক্ষা। তারা নেই বলে আমার আনন্দ, আমি বেঁচে গেলাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও