ঘর অনুযায়ী বেছে নিতে হবে রং

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৪

নভেম্বর থেকে জুন—দেয়াল রং করার আদর্শ সময়। কারণ, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা থাকে কম। আবার বৃষ্টিও একেবারে হয় না বললেই চলে। ফলে দেয়াল থাকে শুষ্ক আর আর্দ্রতামুক্ত। তাই দেয়াল রং করাতে চাইলে বর্ষা মৌসুমের আগেই উদ্যোগ নিতে পারেন।তবে মনে রাখবেন, রং একবার করা হয়ে গেলে সহজে তা পরিবর্তন করা যাবে না। তাই রং করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত।


প্রধান দরজার আশপাশে


ঘরের প্রধান দরজা দিয়ে আমরা ক্লান্ত হয়ে ঘরে ঢুকি কিংবা সতেজ হয়ে বের হই। তাই প্রধান দরজার আশপাশে উজ্জ্বল রং যেমন হলুদ, কমলা, ম্যাজেন্টা, হলদে সবুজের মতো রংগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কালো, নীল, ধূসর—এ ধরনের রং এখানে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।


বসার ঘর


ড্রয়িংরুম বা বসার ঘর একটি বাড়ির মূল আকর্ষণ। তাই ড্রয়িংরুমটা রুচিশীল রঙে রাঙানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে গোলাপ রঙের গোলাপি, ওশান গ্রিন, ফ্রেঞ্চ ধূসর, বেগুনি, ক্রিম কালার ও লেমন ইয়েলো হতে পারে ভালো রং। পুরো ঘরে এই রং না লাগিয়ে একাংশেও ব্যবহার করতে পারেন। চিকন একটা লাইন চলে যেতে পারে লম্বালম্বি বা আড়াআড়ি। এই উজ্জ্বল রংগুলো মনকে উজ্জীবিত ও সতেজ করে তোলে।


খাবার ঘর


হলুদ বা কমলার মতো উষ্ণ, উজ্জ্বল রংগুলো আমাদের ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই বিভিন্ন রেস্তোরাঁর দেয়ালে সাধারণত এই রংগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আবার হইহুল্লোড়, আড্ডা এগুলো খাবার ঘরেই বেশি হয়। তাই খাবার ঘরের যেকোনো উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার সুন্দর অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করে।


শোবার ঘর


দিন শেষে বেডরুম বা শোবার ঘরটাই আপনার একান্ত স্বস্তির জায়গা। তাই শোবার ঘরের জন্য হালকা, সতেজ, শান্তি ও স্নিগ্ধ আমেজ আনে, এমন রং বেছে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সাদা, চাঁপা সাদা, হালকা ভায়োলেট, হালকা সবুজ, আকাশি নীল, ফ্রেঞ্চ ধূসর, ক্রিম ইত্যাদি শীতল রং দেওয়া যায়। এ ধরনের রং মনে আনে শান্তি আর স্বস্তি। তাই শোবার ঘরে এই রংগুলোরই বেশি ব্যবহার হয়।


বাচ্চাদের ঘর


ছোট শিশুদের ঘরের রং বাছাইয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, রং বাচ্চাদের মনের ওপর প্রভাব ফেলে অনেক বেশি। বাচ্চাদের ঘরে রং করার আগে তার সঙ্গে কথা বলে পছন্দ বুঝে নেওয়া যেতে পারে। শিশুর পছন্দের কোনো চরিত্র থাকলে সেটা আঁকিয়ে নিতে পারেন দেয়ালে। তবে এখানে এমন চরিত্রই আঁকা উচিত, যা শিশুর পছন্দের তালিকায় বেশ কয়েক বছর থাকবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও