পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

সমকাল প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:০৯

নির্বাচন সামনে রেখে আবারও শুরু হয়েছে রাজপথ দখলের লড়াই। বিরোধী দলকে এককভাবে রাজপথে কোনো শোডাউনের সুযোগ দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল। বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির জবাবে একই দিন পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বুধবার ঢাকাসহ দেশের ১০ বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিরোধী দলগুলো। অন্যদিকে, বিরোধী জোটের এ কর্মসূচির দিন 'সতর্ক পাহারায়' থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে 'শান্তি সমাবেশ' কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে থাকবেন দলটির নেতাকর্মীরা। প্রধান দু'দলের এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতি। দু'পক্ষের এ মুখোমুখি অবস্থানে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্নেষকরা।
বিশ্নেষকরা বলছেন, সরকার ও বিরোধী দল সবার উচিত সংঘাত এড়িয়ে চলা। নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি। এখনই রাজপথ দখল নিয়ে সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে তা কারও জন্য মঙ্গলজনক হবে না। প্রতিটি দলের সংবিধান অনুযায়ী সভা-সমাবেশ করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করলে সাধারণ মানুষের আরও কষ্ট বাড়বে।


এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির সমাবেশগুলোতে মানুষের ঢল দেখে জনরোষের ভয়ে বিনা ভোটে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পেয়ে গেছে। তাই তারা বিএনপির কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে অবৈধ সরকারের গদি রক্ষার চেষ্টা করছে। কিন্তু লাভ হবে না। জনতার ঢেউয়ে এসব বাধা উড়ে যাবে। শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।


অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সমকালকে বলেছেন, বিএনপি ও তার মিত্ররা আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আর জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া যে কোনো সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আওয়ামী লীগেরও দায়িত্ব মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। সরকার ও দল সেই দায়িত্ব পালনে যা করার দরকার, সবই করবে।


সহিষ্ণুতা প্রয়োজন- বললেন বিশ্নেষকরা :সুজন সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্নেষক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন করা- সংবিধান অনুযায়ী এগুলো মৌলিক অধিকার। এগুলোতে বাধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এগুলো কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থার প্রতিফলন। এ ধরনের আচরণ দেশ, গণতন্ত্র ও দলের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক নয়। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখল বা শক্তি প্রদর্শনই সমস্যার সমাধান হবে না; সংকট উত্তরণের পথ বের করতে হবে। সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সংঘাত-সহিংসতাময় বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের প্রধানতম উপায় হচ্ছে, একে অপরের প্রতি গণতান্ত্রিক আচার-আচরণ দেখানো এবং পরমতসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের প্রতিও প্রত্যেককে শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও