করোনায় ভেঙে গেল শি জিনপিংয়ের বৈশ্বিক প্রভাব বিস্তারের স্বপ্ন
চীনে করোনার উৎপত্তি, সেটির সংক্রমণ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি তৈরির যে চেষ্টা চীন সরকার করেছে- আমাদের বর্তমান সময়ে এটি অন্যতম বড় একটি ঘটনা। তবে গণমাধ্যম এবং মানুষের মুখ চেপে ধরে যে সফল হওয়া যায় না তা প্রমাণ হয়েছে তাদের করোনা ব্যর্থতার মাধ্যমে৷ এ ব্যর্থতায় বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধির যে স্বপ্ন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেখেছিলেন সেটিও ব্যর্থ হয়েছে৷
করোনা মহামারির পর পুরো বিশ্ব যখন নিজেদের বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সমান তালে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কঠোর লকডাউন দিয়ে চীনা সরকারের উদ্দেশ্যই বা কী ছিল?
চীনের প্রতিটি আঞ্চলিক সরকার করোনা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে তবে জনসংখ্যায় ইংল্যান্ডের সমান দক্ষিণ জিনজিয়াং প্রদেশের সাংহাই শহরে গড়ে প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। সিচুহান প্রদেশও এমন সংক্রমণ হতে পারে বলা আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চীনে প্রতিদিন প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং গত ২০ দিনে প্রায় ২০ কোটি ৮০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন গত তিন বছরে করোনা ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত করতে চীনা সরকারের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেটির কারণে সরকারের সঙ্গে সাধারণ জনগণের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
একদিকে হাসপাতালগুলো প্রয়োজনীয় সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে অন্যদিকে অভিজাত শ্রেণির মানুষ পশ্চিমা এম আর এন ভ্যক্সিন নিতে চীনের ম্যাকাও শহরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন; যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে৷