কাশ্মীর ঘিরে ভারত সরকারের চিন্তা বাড়াল লাদাখও
জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে বাড়তি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লাদাখ। বৌদ্ধ ও শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত এই নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য গড়া কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন লাদাখের সর্বদলীয় নেতারা।
শুধু তা-ই নয়, লাদাখের নেতারা এখন প্রকাশ্যে বলছেন, অবিভক্ত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে তাঁরা অনেক বেশি ভালো ছিলেন। বিজেপি সরকার তাঁদের ঠকিয়েছে, বোকা বানাচ্ছে।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে কয়েক বছর আগে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। সেখানে নতুন করে সমস্যা মাথাচাড়া দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চিন্তিত। কারণ, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার পর দেশের যেসব জায়গায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করতে চাইছেন, সেগুলোর একটি শ্রীনগরে হবে বলে স্থির করা হয়েছে। আগামী মে মাসে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেছেন, সম্মেলনের আয়োজকেরা বোঝার চেষ্টা করছেন, সেখানকার পরিস্থিতি কতটা জটিল, সংকট কতটা তীব্র। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নিয়ে সরকারের এত দিনের সব দাবি অসাড় প্রতিপন্ন হতে পারে। আর সম্মেলন চলাকালে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটলে দেশের ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাতে বরং হিতে বিপরীত হবে।
কেন্দ্রকে ‘না’ লাদাখ নেতাদের
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের পর গত সাড়ে তিন বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি ভালো-মন্দ মিশিয়ে চললেও সম্প্রতি জম্মুর পরিস্থিতি সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে জট পাকিয়েছে লাদাখ। বৌদ্ধ ও শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত এই বিস্তীর্ণ এলাকা ভূকৌশলগত কারণে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে চীনের আগ্রাসনের কারণে।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- সীমান্ত সমস্যা