কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আগামী নির্বাচন ও বড় দলের রাজনৈতিক লড়াই

প্রথম আলো আবুল মোমেন প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৩৪

আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, তা নিয়ে জনমনে যুগপৎ কৌতূহল এবং সংশয় রয়েছে। পূর্ববর্তী দুটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতাই এর কারণ। সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন কারও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাসের ওপর মানুষ ভরসা করতে পারছে না। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের দায় এড়াতে প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর সরকারদলীয় কৌশলে কি মানুষ আস্থা রাখতে পারছে? এর মধ্যে প্রায় বছর আটেক নিষ্ক্রিয়তা ও হতোদ্যম অবস্থা কাটিয়ে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনকে চাঙা করতে সক্ষম হয়েছে। 


এদিকে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে এতকাল যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব পশ্চিমা দেশ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়ে গেছে, তাদের অবস্থানের যেন একটু পরিবর্তন ঘটেছে। তার স্পষ্ট প্রকাশ ঘটেছে র‌্যাব ও পুলিশের উচ্চপদস্থ সাবেক ও বর্তমান ছয়জন কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে। এখন তাঁদের পররাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায় তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এসবই মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে তাঁদের অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ। সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য কিছুদিন দেনদরবার চালিয়েছে। তাতে কাজ না হওয়ায় এখন মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে উচ্চকণ্ঠ পশ্চিমা দেশের একই বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্বৈতনীতি ও অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগে বৈষম্যের দৃষ্টান্ত তুলে সমালোচনায় পিছপা হচ্ছে না। বাজারে এমন রবও রয়েছে যে প্রতিবেশী দেশও নানা কারণে আগের মতো বর্তমান সরকারের সার্বিক সমর্থনের নীতি থেকে সরে আসছে। বিপরীতে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে বিএনপি নেতাদের কথা বলতে শোনা যাচ্ছে এবং দলটির সমর্থনে সংখ্যালঘুদের পক্ষে একটি সংস্থাও গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। 


আওয়ামী লীগ সরকার ২০২১ সালেও অত্যন্ত আত্মবিশ্বাস ও জৌলুশের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে। কিন্তু এক বছরের মাথায় আকস্মিকভাবে তাদের প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ থেকে শক্ত প্রতিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাইরের বন্ধুদেশের আপাত–কঠোর অবস্থান। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কখনো একরৈখিক বা একই গতি ও বিন্যাসে চলে না। আমরা লক্ষ করছি এই সময়ে রাশিয়া, চীন এমনকি পশ্চিমের মিত্র জাপানও বাংলাদেশের প্রতি উষ্ণ আন্তরিকতা প্রদর্শন করছে। ফলে এ সময় বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে কাজে প্রখর সতর্কতা, পরিপক্বতা ও দূরদর্শিতার প্রয়োজন হবে। এ কথা ঠিক, প্রায় ১৪ বছর ধরে সরকার পরিচালনার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা দক্ষ ও পোক্ত হয়ে উঠেছেন। 


তাঁর সরকারের তিন মেয়াদের দীর্ঘ শাসনকালে দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বিপুল উন্নতি হয়েছে, তা অস্বীকার করা যায় না। অর্থনীতি ও সামাজিক সব সূচকেই এই অগ্রগতি দৃশ্যমান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও