২০২২-২৩ অর্থবছর জুড়েই থাকতে পারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার অব্যাহত থাকতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী পণ্য মূল্যের গতিবিধি, অভ্যন্তরীণ আর্থিক ও মুদ্রানীতির অবস্থান এবং বিনিময় হারের অস্থিরতা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিসহ বিভিন্ন কারণে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার বিষয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ধাক্কার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বেশিরভাগ সময় মুদ্রাস্ফীতি বর্তমান স্তরের কাছাকাছি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১৪ বেসিস পয়েন্ট কম।
মূল্যস্ফীতি গত ৪ মাস ধরে কমলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জ্বালানির উচ্চমূল্যের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির প্রভাবে পরিবহন ব্যয় ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায় প্রভাব পরতে পারে।
এর পাশাপাশি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দামে মূল্যস্ফীতির প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী করবে বলে প্রমাণিত হয়েছে। শিগগির এই মূল্যের চাপ কমার সম্ভাবনা কম।