মেট্রোরেল: চীনের অভিজ্ঞতা

www.ajkerpatrika.com মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৫৭

২০১৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য চীন সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে আমি এ দেশে আসি। দেখতে দেখতে চারটি বছর কেটে গেল চীন দেশে। মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর আবার চীন সরকারের স্কলারশিপ পেয়ে বর্তমানে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করছি। চার বছর ধরে আমি বসবাস করছি চীনের চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাং শহরে। নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হোক বা অন্যের প্রয়োজনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় ব্যবহার করি গণপরিবহন, অর্থাৎ সিটি বাস, মেট্রোরেল বা সাবওয়ে।


চীনে সর্বোচ্চ ব্যবহৃত যানবাহনের মধ্যে একটি হলো মেট্রো। যেকোনো শহরের সিংহভাগ জনগণ এই সেবা নিয়ে থাকে। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়া মেট্রোরেল ননস্টপ সেবা প্রদান করে থাকে।


নানছাং শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল, যাকে আমরা পাতালরেলও বলি তা রয়েছে, এটি প্রাদেশিক সরকারের অধীনে পরিচালিত হয়। চীনে গণপরিবহন সম্পূর্ণভাবে সরকার কর্তৃক পরিচালিত হয়, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো গণপরিবহন নেই। চীনের ব্যস্ততম তিনটি মেট্রোরেল হলো বেইজিং, গুয়াজু ও সাংহাই শহরে।


বিশ্বের প্রায় ষাটের অধিক দেশে ইতিমধ্যে মানুষকে মেট্রোরেলের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৬১টি দেশের দুই শতাধিক শহরে গণপরিবহন হিসেবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। কেবল চীনেই ৪৬টি মেট্রো সিস্টেম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে রয়েছে ১৫টি করে। অবশেষে বাংলাদেশও সেই ক্লাবে যোগ দিয়েছে। সাড়ে ছয় বছর আগে রাজধানীর চিরচেনা যানজট এড়াতে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের শেষে এসে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা পরিণতি পেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বর্ণিল আয়োজনে দেশের প্রথম এই বৈদ্যুতিক গণপরিবহনের উদ্বোধন করেন, যার মধ্য দিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।


নানছাং শহরে পাতালরেল নির্মাণ পরিকল্পনা রাজ্য কাউন্সিল কর্তৃক ২০০৯ সালের জুলাই মাসে অনুমোদিত হয়েছে। পরিকল্পনায় পাঁচটি লাইন রয়েছে, যার মোট দৈর্ঘ্য ১৯৮ কিলোমিটার, যেখানে মোট  ১৪৬টি স্টেশন রয়েছে। তাদের মধ্যে লাইন-১-এর প্রথম পর্বের কাজটি সম্পন্ন হয় ২০১৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও