মোবাইল ফোনের আসক্তি নিয়ে শিশুদের সচেতন করার উদ্যোগ
শিশুদের মোবাইল ফোনের ভয়াবহ আসক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে। পরে বৈঠক শিশুদের আসক্তি থেকে মুক্তি এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য গণসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সাম্প্রতিক এক বৈঠকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে মন্ত্রণালয়। সেই প্রতিবেদনে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়িয়ে শিশুদের মোবাইল ফোনের আসক্তি কমানোর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত এক্সিলারেটিং প্রটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি) প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে ৮৭০টি শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন ও পরিচালিত হচ্ছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিশু ও কিশোর এবং অভিভাবকদের নিয়ে শিশুদের মোবাইল ফোনের ভয়াবহ আসক্তি থেকে মুক্তি বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরির জন্য কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণে শিশুদের মোবাইল ফোনের ভয়াবহ আসক্তি সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সারা বছর শিশুদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক শিশু ও অভিভাবকের সমাগম ঘটে থাকে। ওই অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় শিশুদের মোবাইল ফোনের ভয়াবহ আসক্তি থেকে মুক্তি এবং সাপে কাটার বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা হয়। পাশাপাশি ‘নিরাপদ শিশু নিরাপদ ইন্টারনেট’ শীর্ষক কর্মসূচি প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।