রেলওয়ে: কিছু আশার কিছু হতাশার
সম্প্রতি রেলের টিকিট নিয়ে আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দেশটি এক আজব দেশ। নিয়ম না মানাটাই এখানে নিয়ম এবং আইন ভঙ্গ করাটাই যেন আইন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকদের হয়রানির জন্যই যেন একশ্রেণির সরকারি কর্মচারীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।’ কথাগুলো প্রণিধানযোগ্য। সত্যিকার অর্থেই যাঁরা সরকারি চাকরি করেন, তাঁদের বড় একটি অংশ দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন। তাঁরা মনে করেন আমি এখান থেকে টাকা পাচ্ছি; সেগুলো ব্যয় করে আমার সংসার-সন্তান নিয়ে ভালো থাকাটাই শেষ কথা।
বিনিময়ে তিনি কী দিচ্ছেন, সে হিসাবটি কষেন না। আর একটি মৌলিক বিষয় অজান্তেই এড়িয়ে যান। সেটা হলো এই, সমাজটি ভালো না থাকলে সংসার-সন্তান নিয়ে ভালো থাকা যায় না। এই সামাজিক উদাসীনতা আমাদের জন্য এখন এক বড় অভিশাপ।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়েছে, সেটা তো স্বীকৃত। তবু দুঃখের কথা হলো, দেশের অনেক সেক্টরের সঙ্গেই ওপরের কথাগুলো যায়।কিন্তু আজকের আলোচনা রেলওয়ে বিষয়ে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ট্রেনের টিকিট চা-বিড়ির দোকানে পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর ও সরারচর রেলস্টেশনের কাহিনি এটা। স্টেশনের দোকানগুলোতে দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট নেই।
আমরা খবরের কাগজে যেমন দেখতে পাই, তেমনি আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী যে অনলাইনে টিকিট ছাড়া হয় সকাল ৮টায়; অথচ ৮টা বেজে ৫ মিনিটের মধ্যে ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে যায়। আমার পক্ষে প্রায় কোনো দিনই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া সম্ভব হয়নি।কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, বেশি টাকা খরচ করলে অব্যর্থভাবে টিকিট পাওয়া যায়। ৭০০ টাকার টিকিট ১ হাজার ২০০ টাকা।