বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে বাংলাদেশ কী পেল
মেসির এই জয়টা এতই দারুণ ছিল যে আর্জেন্টিনার ঘোর বিরোধী ব্রিটিশ গণমাধ্যমেও এর উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে। শুরুর দিকে কাতার বিশ্বকাপ বর্জনের ডাক দেওয়া, নানা অসংগতি তুলে ধরেছিল যেসব গণমাধ্যম, শেষ দিনেও তারা মেসির বিশেষ পোশাক পরা নিয়ে অবশ্য কিছুটা শোরগোল করেছে। তবে সেই শোরগোলে উল্টো এটাই প্রমাণ হয় যে পশ্চিমা গণমাধ্যম ক্ষেত্রবিশেষে ‘ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশনের’ পক্ষাবলম্বন করে ফেলে।
মেসিকে সেদিন যে পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়, তার নাম বিশত। আরব সংস্কৃতিতে বিশিষ্ট মেহমানদের সর্বোচ্চ সম্মানের অংশ হিসেবে এই পোশাক উপহার দেওয়া হয়। ব্যাপারটি ইসলামি সংস্কৃতির অংশ ধরে নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমের যে আপত্তি, তা কেবল মূর্খতাপ্রসূতই নয়, চোরা বর্ণবাদও। অবশ্য বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামের জয় হিসেবে বিষয়টি দেখানো মুদ্রার অপর পিঠের মতোই।
বাংলাদেশে উচ্ছ্বাস
খোদ আর্জেন্টিনার চেয়েও হয়তো বেশি ম্যারাডোনা–ভক্তের দেশ বাংলাদেশ। ম্যারাডোনা নিষিদ্ধ হওয়ার পর এই বাংলাদেশেই আত্মহত্যার ঘটনার উদাহরণ আছে। ১৯৯০ সালের ৮ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে রেফারি কোডেসাল পেনাল্টির বাঁশি বাজানোর ঘটনায় রাস্তায় রাস্তায় মিছিল হয়েছিল।