জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সমস্যা
২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর, বিজিপির দুটি চেকপোস্ট এবং মংডু শহরের বিজিপি সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছিল একটি বিশেষ জঙ্গিগোষ্ঠী। অনলাইনে একটা ভিডিও পোস্ট করে একটি সন্ত্রাসবাদী দল হামলার দায় স্বীকার করে। প্রথমে তারা বলেছিল, তারা হলো ‘হারাকাহ আল ইয়াকিন’ তথা ফেইথ মুভমেন্ট। পরবর্তী সময়ে তারা ‘আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ তথা (ARSA) বলে দাবি করে।
সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছে কিছু জঙ্গি। তাদের একটি কমিটির নেতৃত্বে ছিল এই আর্মি। রোহিঙ্গা ভাষায় পোস্ট করা একটা ভিডিও পাওয়া যায়। সেখান থেকে দেখা যায়, হামলায় একসঙ্গে মোট ৯ জন পুলিশ আর আটজন জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গিরা সরকারের ৬২টি আগ্নেয়াস্ত্র আর ১০ হাজারেরও বেশি গোলাবারুদ নিয়ে পালিয়ে যায়। সরকারের ধারণা অনুযায়ী মোট হামলাকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০। এই হামলায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছিল রোহিঙ্গা গ্রামের সাধারণ মানুষের। গ্রামের সহজ-সরল মানুষগুলো বুঝতেই পারছিল না, এই অপরিচিত লোকগুলো আসলে অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে কাজকর্ম করছে!