বিধ্বংসী যুদ্ধ, মৃত্যু আর করোনা মুক্তির বছর
২০২২ সাল ইতিহাসের পাতায় এমন একটি বছর হিসেবে লেখা থাকবে; যখন মৃত্যুর ঢেউ চলেছে বিশ্বজুড়ে। একদিকে করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্বে লাখ লাখ সাধারণ মানুষের প্রাণ গেছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় কয়েকজন প্রধানেরও জীবনের অবসান ঘটেছে অনেকটা আকস্মিকভাবেই। ব্রিটেন হারিয়েছে রানিকে, জাপান হারিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। রাজনীতিতেও বিদায় ঘটেছে অদক্ষ ও কলঙ্কিত নেতাদের। প্রকৃতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে বছরের বড় বড় সব পরিবেশ সম্মেলনে। ইউরোপে জেঁকে বসেছে ইতিহাসের বিধ্বংসী এক যুদ্ধ; যার অবসান এখনও সুদূরে।
বছরের প্রধান প্রধান আলোচিত কিছু ঘটনা...
ইন্দোনেশিয়ার মালাংয়ে পদদলন
গত ১ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে এক ফুটবল ম্যাচের সমাপ্তি ঘটে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার সাথে সাথে হাজার হাজার সমর্থক মাঠে ঢুকে পড়েন। বেশিরভাগই নিজ দলের হারে হতাশা প্রকাশ করতে মাঠে নামেন। পুলিশের সদস্যরা লাঠিপেটা করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
সিউলে পদদলনে দেড় শতাধিক মৃত্যু
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসব বন্ধ ছিল। এরপর এবছরই প্রথম এই উৎসব হয়, যেখানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল না।
‘মৃত আত্মাদের স্মরণে’ প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে হ্যালোইন উৎসব হয়। গত ২৯ অক্টোবর দেশটির রাজধানী সিউলে খ্রিষ্টানদের অন্যতম প্রধান এই উৎসব উদযাপনের অনুষ্ঠানে পদদলনে ১৫৮ জনের প্রাণহানি ঘটে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশি ইউক্রেনে রাশিয়ার শত শত ট্যাংক ঢুকে পড়ে। ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, দেশটির পতনের মধ্য দিয়ে দ্রুতই এই যুদ্ধের হয়তো অবসান ঘটবে।
রাশিয়ার জেনারেলরাও সৈন্যদের বলেছিলেন, ইউক্রেনে এই অভিযান ‘পার্কে হাঁটা’র মতোই হবে। এমনকি পশ্চিমের সামরিক বিশ্লেষকরাও কয়েকদিন বা সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভের পতন হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন।