বাংলা সাধারণ রঙ্গালয়ের দেড় শ বছর ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা
বাংলাদেশের নিয়মিত নাট্যচর্চার বয়স পঞ্চাশ। এখানেও নাটক প্রবলভাবে রাজনৈতিক। অভিনয় নিয়ন্ত্রণ ও প্রমোদ কর দিয়ে প্রথম দিকে এর বিরুদ্ধে নাটকের চর্চাকে ব্যাহত করার চেষ্টা চলেছে। সম্প্রতি এক ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে গেল।
৭ ডিসেম্বর, ২০২২ বাংলা সাধারণ রঙ্গালয়ের দেড় শ বছর পূর্তি উৎসব। এই দিনে ১৮৭২ সালে অবিভক্ত ভারতের রাজধানী কলকাতায় সূচনা হলো সাধারণ রঙ্গালয়। এর আগে নাটকের অভিনয় হতো জমিদারের বাগানবাড়িতে, পূজার মণ্ডপে বা যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে কিংবা পাড়া-মহল্লায়। সেসব নাট্যাভিনয়ে প্রতিভাবান অভিনেতারা অভিনয় করতেন বটে, কিন্তু সবার প্রবেশাধিকার ছিল না।
আবার নাট্যাভিনয়ের জন্য সামন্ত প্রভু ও বিত্তবানদের অনুগ্রহ নিতে হতো। ১৮৭২ সালের প্রথম দিক থেকেই কিছু উদ্যমী তরুণ ন্যাশনাল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন এবং দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীল দর্পণ’ নাটক দিয়ে টিকিটের বিনিময়ে যাত্রা শুরু করেন। অভিনয়ের জন্য খুব কম টাকায় জোড়াসাঁকোর মধুসূদন সান্যালের ঘড়িওয়ালা বাড়িটি ভাড়া নেন। চারদিক ঘেরাও করে আট আনা ও এক টাকা মূল্যের টিকিটের বিনিময়ে নাট্যাভিনয় শুরু করেন। দীনবন্ধু মিত্র নীল দর্পণ নাটকটি রচনা করেন ১৮৬০ সালে এবং ওই বছরই ঢাকার বাঙ্গালা প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়। নাটকটি যেহেতু অত্যাচারী ইংরেজ নীলকরদের বিরুদ্ধে, তাই নাট্যকার সেখানে তাঁর নাম ব্যবহার করেননি।
- ট্যাগ:
- মতামত
- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
- মঞ্চনাটক