কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

খালি পড়ে আছে ১০ কোটি টাকার পাঁচ ছাত্রাবাস

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪০

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মহেল ত্রিপুরার বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দুর্গম ভারতবর্ষপাড়ায়। সে পড়ে পানছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তার বাড়ি থেকে উপজেলা সদরের এই বিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় সাত কিলোমিটার। পায়ে হাঁটা দুর্গম পাহাড়ি পথ ডিঙিয়ে এত দূর আসা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সে মামার সঙ্গে বিদ্যালয়ের পাশে একটি ভাড়া কক্ষে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।


অথচ বিদ্যালয়ের পাশে রয়েছে একটি তিনতলা ছাত্রাবাস। দূরদূরান্তের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাসটি করা হয়েছিল ২০১০ সালে। নির্মাণের পর ছাত্রাবাস চালুই হয়নি। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ছাত্রাবাসটির দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় এটি এখন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়।


মহেল ত্রিপুরা জানায়, তারা যে কক্ষে থাকে, সেটির ভাড়া তিন হাজার টাকা। খাওয়াসহ তাদের দুজনের খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। ছাত্রাবাসটি চালু থাকলে মহেল ত্রিপুরার কোনো খরচই হতো না।


পানছড়ির এটিসহ খাগড়াছড়িতে তিনটি এবং রাঙামাটিতে দুটি ছাত্রাবাস নির্মাণের পর আর চালু হয়নি। খাগড়াছড়ির বাকি দুটির অবস্থান লক্ষ্মীছড়ি ও মানিকছড়িতে। আর রাঙামাটির দুটি ছাত্রাবাস কাউখালী ও লংগদু উপজেলায় নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য এই ছাত্রাবাসগুলো নির্মিত হয়। কিন্তু খাবারের জন্য বরাদ্দ না হওয়ায় ছাত্রাবাস চালু হয়নি।


এক যুগ আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি) আওতায় ছাত্রাবাসগুলো নির্মাণ করে। প্রতিটি ছাত্রাবাস নির্মাণে খরচ হয়েছিল প্রায় দুই কোটি টাকা। সেই হিসাবে পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি টাকা। নির্মিত প্রতিটি ছাত্রাবাস তিনতলার। থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ৯০ জন শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে নিচতলা ও দোতলায় ৫০ জন ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তৃতীয় তলায় থাকার ব্যবস্থা আছে ৪০ জন ছাত্রীর। নিচতলায় একটি মিলনায়তন এবং রান্নার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। আসবাব, বিদ্যুৎ সংযোগসহ সব ব্যবস্থা করা হয়।


জানতে চাইলে এলজিইডির খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষা অফিসকে বুঝিয়ে দিয়েছি। কীভাবে ব্যবহার করবে, সেটা তাদের বিষয়।’


এলজিইডি নির্মাণকাজ শেষে এই ভবনগুলো প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়কে বুঝিয়ে দেয়। জেলা পরিষদ থেকে জনবল এবং খাবারের খরচপ্রাপ্তি সাপেক্ষে শিক্ষার্থী তোলার কথা ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও